জয়পুরহাট চিনিকলে মাত্র ১৮ দিনেই মাড়াই সমাপ্ত

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:০৪ পিএম

শাহাদুল ইসলাম সাজু, জয়পুরহাট থেকে: দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে আখের অভাবে মাত্র ১৮ দিনে মাড়াই সমাপ্ত ঘোষণা করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ২০২১-২০২২ মাড়াই মৌসুমে এবার সর্বনিম্ন ২৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছিল। চিনিকল সূত্র জানায়, ৩০ হাজার মেট্রিক টন আখ পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও ২১ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এবার এক হাজার ১৬২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। চিনি আহরনের শতকরা হার ছিলো ৫ দশমিক ৪ ভাগ। আখের অভাবে চিনিকল গুলোর অব্যাহত লোকসান কমাতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রংপুরের মহিমাগঞ্জ চিনিকল এলাকা ও জয়পুরহাট চিনিকল এলাকার ৩০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল চলতি মৌসুমে দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে।

এরমধ্যে ছিল জয়পুরহাট চিনিকল এলাকার ২৫ হাজার মেট্রিক টন আখ ও রংপুরের মহিমাগঞ্জ চিনিকল এলাকার ৫ হাজার মেট্রিক টন আখ। চলতি ২০২১-২২ আখ মাড়াই মৌসুমে দুইটি মিল থেকে সংগৃহীত আখের পরিমান হচ্ছে জয়পুরহাট চিনিকল এলাকা থেকে ১৭ হাজার এবং রংপুরের মহিমাগঞ্জ থেকে ৪ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ। চিনির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছিল শতকরা ৬ ভাগ।

এটি ছিল জয়পুরহাট চিনিকলের ৫৯ তম মাড়াই মৌসুম। চিনিকলে আখ সরবরাহ করার পরে মূল্য পরিশোধে কৃষকদের নানা মূখী হয়রানির স্বিকার হতে হয়। এরপরে কৃষি ক্ষেত্রে বহুমূখীকরণ হয়েছে। এতে করে একই জমিতে কৃষকরা এখন ৩/৪ টি ফসল উৎপাদন করতে পারছেন এবং লাভবান হচ্ছেন। যার ফলে সারা বছরের ফসল হিসাবে আখ চাষ করে পরে টাকার জন্য দিনের পর দিন হয়রানি
কৃষকরা আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে তিন/চার বছর আগেও এক থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হলেও আখারে অভাবে এখন মিল চালাতে পারছেনা চিনিকল কর্তৃপক্ষ। জয়পুরহাট চিনিকলে প্রতিদিন ১৫শ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করার সক্ষমতা রয়েছে। পর্যাপ্ত আখ না থাকায় এবার ২৫ দিন চিনিকল চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আখের অভাবে ১৮ দিন মিল চালু রাখার পর ২০ জানুয়ারি মাড়াই মৌসুমের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয় বলে জানান জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। জয়পুরহাট চিনিকলের এ পর্যন্ত লোকসানের পরিমান প্রায় ৩শ কোটি টাকা। যা যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: