দুর্ভোগ নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৮ এএম

সাজ্জাদুল আলম শাওন, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মন্ডল বাজার খোলাবাড়ী সড়ক থেকে চর বাহাদুরাবাদ হড়িচন্ডী সড়কে মধুর বাড়ীর কাছে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ৫ বছর পূর্বে বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে একপাশ দেবে গিয়ে সেতুটি দুপাশের এপ্রোচ সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। একারনে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে অন্য কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারী। সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উপজেলার মন্নিয়ারচর, চরবাহাদুরাবাদ, হড়িচন্ডীসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের জন্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ৪ বছর পর বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি পশ্চিম পাশ অনেকটা দেবে যায় এবং দুপাশের এপ্রোচ সড়কও খানিকটা ভেঙ্গে যায়। এ অবস্থায় ওই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় দেবে যাওয়া দিকে হেলে পড়ে। কখন যে উল্টে যায় তা বলা কঠিন। দুপাশের ভেঙ্গে যাওয়া এপ্রোচ সড়ক স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে সেতু ও সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এতে চলাচলের ব্যবস্থা হলেও ঝুঁকির মাত্রাও বেড়ে যায়।

ওই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল যেখানে দুর্ভোগময় সেখানে পণ্য বা মাল ভর্তি চলাচল সম্পূর্ণরুপে ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে সেতুর উত্তর ভাগের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিনের যাতায়াতকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এ অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজপণ্য বাজারজাতকরণও হয়ে উঠেছে চরম দুর্ভোগময়।

সেতুটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার বা পূণনির্মাণ না করায় কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিতেও ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। ওই এলাকায় অগ্নিকান্ড ঘটলেও পৌঁছেনা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

পূর্ব কাজলাপাড়া গ্রামের মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, সেতুটি বেশ কয়েক বছর থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকাবাসী দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা পূণনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

চিকাজানী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সেতুটি বন্যায় দেবে যাওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত হয়ে উঠেছে দুর্ভোগময়। এলাকাবাসীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে সেতুটি দ্রুত সংস্কার ও পূণনির্মাণ করা দরকার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি ইতি পূর্বে জ্ঞাত ছিলাম না। এ উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: