সেতুতে ওঠতে বাঁশের সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড়

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৯ পিএম

মনিরুজ্জামান,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) থেকে: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি সেতুতে ওঠতে লাগে বাশেঁর সাঁকো। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের সর্ব উত্তরে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা গ্রামের নাম শালঝোড়। কালজানী ও গদাধর নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরের মতো এ গ্রামটির মানুষের যেন দুঃখের শেষ নাই। তিন দিকে ভারতীয় সীমানা। গ্রাম থেকে বের হবার একটি মাত্র পথ। আর এ পথেই গদাধর নদ তবে সেতু থাকলেও তা না থাকার মতো অবস্থা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল এই পথেই।

এলাকাবাসী জানায়, ২০০০ সালে গদাধর নদের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পর বন্যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন থেকে সেতুটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড় থাকায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে সেতুটিতে বাঁশের চাটাই বিছিয়ে সাঁকো তৈরি করে। আর তখন থেকেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে সেতু পারাপারের কাজ।

স্থানীয় রমজান আলী জানান, এই সেতু পার হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পারি দিয়ে কালজানী নদ নৌকায় পার হয়ে সেখান থেকে আরও প্রায় ২ কিলোমিটার পর শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। সামান্য কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পৌঁছাতে এবং বাড়ি ফিরতে প্রায় সারাদিন লেগে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, গদাধর নদের পূর্ব পারে শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় ওয়ার্ড এবং উত্তর ধলডাঙ্গা ওয়ার্ডের একাংশ অবস্থিত। এখানে লোক সংখ্যা প্রায় ১০/১২ হাজার। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নির্মিত হচ্ছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। প্রতিদিন অনেক মানুষ এ সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভারী কোনো জিনিস পরিবহন করতে ভীষণ কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, নদী ভাঙ্গনের কারণে সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরি করে চলাচল করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: