কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পরীক্ষা চালু রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চালু রাখার দাবিতে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ ৩টি সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। দুপুরে মহানগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে ওই মানববন্ধন হয়। এতে শিক্ষার্থীরা সশরীর সব পরীক্ষা চালু রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে শিক্ষাজীবন দীর্ঘায়িত না করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা। এ সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান, ফয়সাল আহমেদ, ঈশিতা ও নিপার নেতৃত্বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজসহ কুমিল্লার সকল কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন যদি আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত করা পরীক্ষা গুলোর রুটিন না দেয়া হয় তাহলে ৩১ তারিখ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।

সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। এর মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ সারা দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে পরীক্ষা বহালের দাবিতে মানববন্ধন হয়।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, পূর্ব ঘোষিত আগামী ২৯ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে অনার্স ২য় বর্ষসহ বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, হাটবাজার চলে, পার্ক-পর্যটনকেন্দ্র চলে। মানুষ সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন, ঘুরে বেড়ান। কিন্তু পরীক্ষা চলে তিন ঘণ্টা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘অনার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। আর তিনটি পরীক্ষা হলে পার পেতাম। কবে যে এগুলো হবে জানি না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।’

কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর খান বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কুমিল্লায় গতকাল সোমবারও করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৬ দশমিক ৪। মানুষের জীবন আগে। এরপরও শিক্ষার্থীদের দাবির কথা সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হবে। ইচ্ছা করে কাউকে আটকে রাখা হয় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা আসবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: