বিমানের দুর্নীতি দেখতে বলাকায় দুদক

প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২২, ০২:৩৬ পিএম

অনিয়ম দুর্নীতির অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলাকা অফিসে পৌঁছান। তারা সেখানে মিশর থেকে বোয়িংয়ের দুটি উড়োজাহাজ লিজ সংক্রান্ত ১১০০ কোটি টাকা অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেন

২০২০ সালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে তখন ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানা যায়।

বিমানের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের মার্চ ও মে মাসে মিসরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দুটি উড়োজাহাজ (বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর) ভাড়ায় আনে বাংলাদেশ বিমান। এক বছর পর প্রথম উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হয়। দেড় বছরের মাথায় সেটিও নষ্ট হয়। ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। সেটিও নষ্ট হয়। কিন্তু প্রতি মাসে ইঞ্জিনের ভাড়া দিতে হয়েছে!

এর আগে দশম সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ওই দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করেছিল। সে সময় তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কোনো খোঁজখবর না করেই মিসর থেকে দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ ভাড়া করায় সাড়ে তিন বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। উড়োজাহাজ ভাড়ার চুক্তিকে ‘আত্মঘাতী’ উল্লেখ করে উড়োজাহাজ দুটি দ্রুত ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

এতে বলা হয়, বিমান কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নতুন উড়োজাহাজ কেনার চেয়ে ভাড়ায় আনতে উৎসাহী। এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে না আসা পর্যন্ত বিমানকে রক্ষা করা যাবে না। বিমান দুটি চালিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর ওই দুটি বিমানের পেছনে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ফলে পাঁচ বছরে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: