ফায়ার ফাইটার ফরিদের অপেক্ষায় পরিবার

প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২২, ১০:১৫ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিস কর্মী ফরিদুজ্জামান ফরিদের অপেক্ষায় বাড়িতে প্রহর গুনছেন মা ও বাবাসহ স্বজনরা। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক সাইফুল ইসলাম ও ফুলমতি বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় ফরিদুজ্জামান ফরিদ। মেয়ে সাবিহা আক্তার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিখোঁজ ফরিদের চাচা তোতা মিয়া জানান, ছোট বেলা থেকে ভীষণ মেধাবী ও শান্ত নম্র ছিল ফরিদ।

দিনমজুরি ও ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছেন তার বাবা। বছর দুয়েক আগে সীতাকুণ্ডে প্রথম চাকরিতে যোগ দেয় ফরিদ। ছেলে চাকরি করলেও তার বাবা ভ্যান চালানো বন্ধ করেননি। ইচ্ছে ছিল ছেলে আর একটু স্বাবলম্বী হলেই পেশা পরিবর্তন করে নতুনভাবে সব সাজিয়ে গুছিয়ে নেবেন। কিন্তু সে আশা স্বপ্ন এখন ফিকে হতে বসেছে। ২৪ ঘণ্টা পরেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা-বাবা। কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। ছেলের কথা বলতে বলতে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন দুজনেই। চিকিৎসকের পরামর্শে স্যালাইন লাগানো হয়েছে।

রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বছর দুয়েক আগে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ার ফাইটার (সিপাহি) পদে যোগ দেন ফরিদুজ্জামান ফরিদ। শনিবার (৪ জুন) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস অধিদফতর থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী। তবে ফায়ার সার্ভিসের আরও অন্তত ৪ কর্মী নিখোঁজ আছেন। এরমধ্যে একজন হলেন রংপুরের ফরিদুজ্জামান ফরিদ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: