চাকরি দেয়ার নামে কিডনি বিক্রির হুমকি, আদায় করতেন মোটা অঙ্কের টাকা

প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২২, ০৫:২০ পিএম

ময়মনসিংহে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে চার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই প্রতারক চক্র আকর্ষণীয় বেতনে প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের ডেকে এনে আটকে রেখে কিডনি বিক্রি করার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ী এলাকার মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাষ্টার (৩৪), মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), মো. শামীম হাসান (২৬), মো. সাইদুল ইসলাম (২৪)। শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার পর প্রতারণার শিকার কাউছার হামিদ প্রতারক চার ভাইকে আসামী করে কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার(২ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই প্রতারক চার ভাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত কুমিল্লার স্থানীয় এক পত্রিকায় আকর্ষণীয় বেতনে চাকরীর বিজ্ঞাপন দিতেন। ওই বিজ্ঞাপন দেখে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো. কাউছার হামিদ পত্রিকায় দেয়া নাম্বারে ফোন করে তাদের কথা মতো গত মে মাসের ৪ তারিখে নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদে তার জীবন বৃত্তান্ত পাঠান। পরে গত জুন মাসের ২৮ তারিখে কাউছার হামিদের নাম্বারে ফোন করে প্রতারক মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাষ্টার জানান তার চাকরীর হয়েছে এবং পরদিন ২৯ জুন ময়মনসিংহে মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে তার সাথে দেখা করতে বলেন।

পরদিন বুধবার (২৯ জুন) বিকালে কাউছার হামিদ কথামতো ময়মনসিংহ মহানরীর শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসলে প্রতারক শফিক মাষ্টার ও তার ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামে নিয়ে যায় কাউছার হামিদকে। সেখানে একটি ঘরে আটকে রাখে। আটকে রেখে প্রতারক চক্র কাউছার হামিদের কিডনি বিক্রি করার হুমকি ও বেধরক মারপিট করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কাউছার হামিদ তাদের বুজিয়ে ৩ লাখ টাকার কথা দিবে বলে রাজি করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যার পর এক লাখ টাকা কাউছার তার হামিদ তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে বিকাশে এনে প্রতারক চক্রের কাছে বুজিয়ে দেন। পরে ওই দিন রাত ১১ টার দিকে কাউছার হামিদকে ছেড়ে দেন প্রতারক চক্র।

ওসি শাহ কামাল আরও বলেন, কাউছার হামিদ সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই চার ভাইকে আসামী কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং দীর্ঘদিন যাবত তারা এমন প্রতারণার করে আসছে বলেও জানান তারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: