খুলনায় চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে, স্বস্তিতে নেই ক্রেতা-বিক্রেতারা

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২২, ০৯:৪৫ এএম

খুলনাতে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। তবে তাতেও স্বস্তি ফেরেনি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। লবণের বাড়তি দামের কারণে ব্যবসায়ী-আড়ৎদারদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। গরুর চামড়া সাদরে দিলেও ছাগলের চামড়া ফিরিয়ে দিয়েছে বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি অভিযোগ দানকারীদের। মাদ্রাসা-এতিমখানার পরিচালকরা বলছেন, ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে পারেননি তারা। খুলনার চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম ঢালী জানান, গত বছরের চেয়ে চামড়ার দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এটা স্বস্তিদায়ক হলেও লবণের বাজারে হঠাৎ অস্থির হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। চার’শ থেকে আট’শ টাকা করে যার কাছ থেকে যা পারছে তাই নিচ্ছে লবণ ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন, গত বছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০। এবার তা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। বিভিন্ন কারণে এক দশক ধরে চামড়া ব্যবসা ধ্বংস হয়েছে। এবার খুলনায় সর্বোচ্চ ১০-১৫ জন চামড়া কিনছে। আনুমানিক ১০ হাজারের বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চামড়ার দাম কিছুটা বাড়ায় বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাড়তি দাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

চাঁনমারী এলাকার আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার হাফেজ ইমরান বিশ্বাস বলেন, গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়া বিক্রি করা যায়নি। ক্রেতা-ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা নেয়নি। লবণচরা হাজী আব্দুল মালেক ছালেহিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মোঃ শাফায়াতুল ইসলাম জানান, এবার তাদের ১০১টি গরুর চামড়া সংগ্রহ হয়। যার মধ্যে ছোট সাইজের প্রতিটি তিন’শ টাকা এবং বড় সাইজের চামড়া প্রতিটি সাড়ে পাঁচ’শ টাকা করে বিক্রি করেন। গত বছর মাত্র ২২৫ টাকা করে প্রতিটি চামড়া বিক্রি করতে হয়েছিল। আর ছোট গরু ও ছাগলের চামড়া মাটির নিচে চাপা দিতে হয়েছিল। সে তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ দামে চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে।

নগরীর মোহাম্মদ নগর এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ হালিম জানান, এবার তিনি সর্বনিম্ন সাড়ে তিন’শ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত চামড়া কিনেছেন। এর মধ্যে ছোট চামড়া সাড়ে তিন’শ, মাঝারি চার’শ থেকে আট’শ এবং বড় সাইজের প্রতিটি চামড়া কিনেছেন নয়’শ থেকে হাজার টাকায়। তবে তিনি কোন সাইজ কত টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন-সেটি বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে খুলনা বিভাগে সর্বমোট ৯ লাখ ২৬ হাজার ২০৯টি পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২৪ হাজার ৫৯১টি গাভী, ২ লাখ ৩৩ হাজার ২১৮টি ষাঁড়, ৪৫৫টি মহিষ, ৬ লাখ ৪৫ হাজার দুইটি ছাগল ও ২২ হাজার ৫২৮টি ভেড়াসহ অন্যান্য পশু।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: