একই পরিবারের তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাক মালিকের আপোসের প্রস্তাব
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় এক পরিবারের তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এদিকে, নিহতের বাবাকে দূর্ঘটনার বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাক মালিক।
রবিবার (১৭ জুলাই) রাতে নিহতের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক সেকান্দার আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বিডি২৪লাইভকে বলেন, ট্রাকে দেয়া নাম্বারে আমার ভাতিজা শিপন কল দেয়। পরে ট্রাক মালিক মামলা না করে আপোস করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু দুই দিন পার হয়ে গেলেও সে আসেনি। পরে আমি থানায় মামলা করেছি। কারণ, যে ক্ষতি আমার হয়েছে। এমনিতেই তো তাদের ছাড় দেয়া যায় না। তবে, ট্রাক মালিকের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ট্রাক মালিকের নাম মো. মঞ্জুর রহমান। সে রাজশাহী বাঘা থানার মৃত মোনতাজ আলীর ছেলে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওরা প্রথমে আমার নাম্বারে ফোন করে। পরে আমি তাদের মিমাংসার প্রস্তাব দেই। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আমি যেতে পারিনি। মিমাংসা বলতে মানুষ তো আর ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। তিনটা সন্তান আছে, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দেয়া। আর যদি মামলা করে সব খাবে অন্য মানুষ। তারা তো কিছুই পাবে না। তাই, মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০), মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী, রত্না বেগম মারা যায় এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়। পরে আহত সানজিদা ও নবজাতককে নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করে নবজাতক বাচ্চাটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে, অতিরিক্ত যানজটের কারণে নবজাতককে চুরখাই কমিনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মহনগরীর চরপাড়া এলাকায় লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। নবজাতক শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: