ফুলবাড়ীয়ায় জনশুমারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভাড়ার টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভাড়ার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসারদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনশুমারির জন্য ১৭৯ জন সুপার ভাইজার ও ১হাজার ৬৯ জন গণনাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একজন করে জোনাল অফিসারের মাধ্যমে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ করানো হয়। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য ভেন্যু প্রতি ৮ হাজার টাকা ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য জন প্রতি খাবার বাবদ ৩শ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা নিয়ে রয়েছে নানা অনিয়মের ঘটনা। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক সুপার ভাইজার ও গণনাকারী খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভাড়া বাবদ নির্ধারিত টাকা প্রদানের নির্দেশ থাকলেও উপজেলার কিছু প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র ভাড়ার টাকা টাকা দেয়া হলেও পুটিজানা ইউনিয়নের আল আমিন উচ্চ বিদ্যালয়, বিড়ালশাখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিম ইউনিয়ন পরিষদ, দেওখোলা ইউনিয়ন পরিষদ, এনায়েতপুর ইউনিয়নের সোয়াইতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা হলে তাঁরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভাড়া বাবদ কোন টাকা পান নাই বলে জানান। কেন্দ্র ভাড়া না পওয়ার ঘটনায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চেয়ারম্যানবৃন্দদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আল-আমিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক বলেন, প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করায় সরকার প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দের টাকা কেউ হস্তগত করতে পারে না। আমার প্রতিষ্ঠানের টাকা না দেওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট অফিসারের শাস্তি দাবি করছি। সেই সাথে প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সঠিকভাবে টাকা প্রদান করা হয়েছে কী? না? তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা ও অনিয়মে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আছিম পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ও সোয়াইত পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ তালকদার ।
এ বিষয়ে পুটিজানা ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত জোনাল অফিসার জামিল হোসেন বলেন, আমি কেন্দ্র বাড়ার টাকা সাউন্ডবক্স ভাড়া ও আনুসাঙ্গিক খরচে খাটিয়েছি । যদিও এ বাবদ আলাদা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানাগেছে। অপরদিকে আছিম পাটুলী ইউনিয়নের জোনাল অফিসার ও উপজেলা সমবায় অফিসের অফিস সহ-কারী কাম অপারেটর মিলির মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়েএই প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তদন্তকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ও অর্থ ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে তারা কোথায় কী ব্যয় করবে। তিনি বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম করে থাকলে ভোক্তাভোগীরা অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: