আদালত পাড়ায় খুনের ঘটনায় মামলা, আসামির জবানবন্দী

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০২:৩২ পিএম

সুনামগঞ্জের আদালত পাড়ায় আসামিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মামলার বাদি খোকন মিয়া (৪৫) খুন হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন নিহতের বাবা ফটিক মিয়া। মামলার প্রধান আসামি ফয়েজ আহমদ শুক্রবার (২২ জুলাই) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জনাবন্দী দিয়েছেন। অন্য দুই আসামীর রিমাণ্ড শুনানী হয়নি। রোববার তাদের রিমাণ্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, আটক গলাখাল গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে ফয়েজ আহমদ (৩০), আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া (৩৪) ও সেবুল মিয়া (২৫) ও পলাতক থাকা একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে শাহান মিয়া (২৪), লাল মিয়ার ছেলে মো. ইসরাইল মিয়া (৩৫) কে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত মামলার পলাতক আসামী শাহান মিয়া ও ইসরাইল মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশের সুনামগঞ্জ আদালত পরিদর্শক মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, খোকন মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক তিনজনকে শুক্রবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৫ দিন করে রিমাণ্ড চেয়েছিলেন। প্রধান আসামী ফয়েজ আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তবে দুই আসামীর রিমান্ড-শুনানী অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালত রোববার রিমাণ্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, বৃৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে খুন করে একই গ্রামের প্রতিপক্ষরা। ঘটনায় জড়িত ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন উপস্থিত লোকজন, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা।

আরও জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত খোকন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই মাসুক মিয়ার সাথে খুনের ঘটনায় জড়িত আটক তিন জনসহ চার যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক মামলা চলছিল। খোকন মিয়ার চাচাতো ভাই মাসুক মিয়ার (নন জিআর ১৬৬/২২) মামলার আসামী ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া, সেবুল মিয়া ও শাহান মিয়া। মামলার কাজে চাচাতো ভাই মাসুক মিয়ার সাথে বৃৃহস্পতিবার আদালতে এসেছিলেন (সিআর ৭২/২২) মামলার বাদী খোকন মিয়া। মাসুক মিয়ার মামলার হাজিরা শেষে দুপুর পৌণে ১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে সিআর মামলার বাদী খোকনকে একা পেয়ে আসামী ফয়েজ, সাজিদ, শাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত লোকজন, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে গিয়ে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতি ভবনে আটকে রাখেন। এরপর আটক তিনজনকে ধারালো ছুরিসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: