স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে যুবকের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০২:৪১ পিএম

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ফাতেমা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রীর অনশনের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমপুর তাহের মাষ্টার বাড়িতে অনশনে বসেন দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।

ফাতেমা আক্তার ওই ইউনিয়নের হোটনী গ্রামের বুলুয়া বাড়ির মৃত আব্দুছ ছাত্তারের মেয়ে। স্বামী রাকিব হোসেন একই ইউনিয়নের দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কাশিমপুর গ্রামের তাহের মাষ্টার বাড়ির আবু তাহের মাস্টারের ছেলে। সে একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

এদিকে ফাতেমা আক্তারের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষানিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় রাকিব হোসেন। এ দিন বিকালে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ-১ ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু।

অনশনে বসা ফাতেমা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর গত ১৪ জুলাই চাঁদপুর নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে করে। বিয়ের পর ওই দিন রাকিব মেয়েটিকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে তার বোনের বাসায় উঠে এবং সেখানে রাত্রি যাপনের পর পরের দিন তাকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সম্মতি নিয়ে রাকিব তার বাড়িতে আমাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পার না হতেই সে আমাকে তালাক নামা পাঠায়। এ ঘটনায় আমার পরিবার ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে কোন সমাধান পাইনি। তাই তার বাড়িতে অনশনে বসেছি।

এ সময় সংবাদকর্মীদের আরো জানায়, স্বামী রাকিবের বসতঘরে প্রবেশ করতে গেলে তার বোনদের হাতে মারধরের শিকার হয় সে।তারপরও সেখানে সে অবস্থান নেয় এবং অনশন শুরু করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুর উপস্থিতিতে মেয়েটি ঘরে প্রবেশ করে সেখানে অনশনে অনড় থাকে।

এ দিকে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুর উপস্থিতিতে দুই পরিবারকে বসে দ্রুত সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে পানি ও কেক খাইয়ে অনশন ভাঙ্গায়।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, দুই পরিবারের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, জানতে পেরেছি, ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুই পরিবারের সাথে বসে সমাধান করবেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: