নাম পাল্টে পালিয়ে ছিলেন ৩০ বছর, অবশেষে ধরা

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৪:০৯ পিএম

নাটোরের নলডাঙ্গার আলোচিত শাহাদত হত্যা মামলার একমাত্র আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহজাহান আলী ওরফে সোহরাব হোসেন স্বপনকে ৩০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমড়ুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা। দুপুরে নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি জানান র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ।

পালানোর পর সাজা থেকে বাঁচতে প্রায় ৩০ বছর আত্নগোপনে ছিলেন তিনি। শাহজাহান আলী ওরফে সোহরাব হোসেন স্বপন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।তবে আত্মগোপনের পর থেকে তিনি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ এবং নাটোর র‌্যাব অফিসের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি ফরহাদ হোসেন শনিবার দুপুরে র‌্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, ১৯৯২ সালের ১৭ই মে জেলার নলডাঙ্গার বারনই নদীতে গোসল করার সময় শাহাদতকে পূর্ব বিরোধের জেরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে শাহজাহান। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শাহাদত তৎকালীন নাটোর সদর বর্তমানে নলডাঙ্গা উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত সমজানের ছেলে ও শাহজাহান একই উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে।

তিনি আরো জানান,  এই মামলায় দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালের ২৯মে আদালত অভিযুক্ত শাহজাহান আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। ওই হত্যা কান্ডের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় শাহজাহান। এরপর সে পরিচয় গোপন করে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী পৌর শহরের পূর্ব কাটাবাড়ী এলাকায় “সোহরাব হোসেন স্বপন” নামে বসবাস করে আসছিল। এছাড়া তার আদি নিবাস রংপুর বলে জানাতো।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহজাহান আলী ওরফে সোহরাব হোসেন স্বপন নিজের পরিচয় গোপন করে গত ১০ বছর ধরে গাজীপুরে গার্মেন্টে কাজ করছিলেন। এছাড়া দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে অবস্থানকালে সে তার নিজ নাম শাহজাহান এর পরিবর্তে “সোহরাব হোসেন স্বপন ” নামে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করে। সে দিনাজপুর ও ঢাকায় অবস্থান করলেও গোপনে নিজ এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। পরে এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: