নির্বাচনী ব্যয়ে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট ফারাক আছে: সিইসি

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম

মেহেদী হাসান হাসিব, নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন,প্রকৃত ব্যয়টা এতোটা বেশি। অনেক ১০, ২০ লাখ ব্যয় করতে পারেন কিন্তু প্রকৃত ব্যয় ১৫, ২০ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখানে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট একটা ফারাক আছে। আজ রোববার (২৪ জুলাই) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের ষষ্ঠ দিনে একথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, প্রকৃত ব্যয়টা এতোটা বেশি। অনেক ১০, ২০ লাখ ব্যয় করতে পারেন কিন্তু প্রকৃত ব্যয় ১৫, ২০ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখানে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট একটা ফারাক আছে। অর্থশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচার যদি নিয়ন্ত্রণ করারযায় তবে ব্যয় কমে যায়। একই মঞ্চ থেকে যদি সব দলের প্রচার করা হয় এটা প্রজেক্টশন মিটিং বলে। বিদেশেও হয় এখানে প্রস্তাবটা আমার ভাল লেগেছে। তবে আমাদের আইনে সেটা নেই।

তিনি বলেন,আপনারা সালিশীর কথা বলেছেন। সবাই বলছে নির্বাচনটা যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কাউকে নির্বাচনে আসতে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। ওটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সবাইকে আহ্বান করা। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কথা বলেছেন। কোনো দিকে আমরা পক্ষপাত, কোনোদিক আমরা নিপীড়ন মূলক হয়ে পড়ি। অথবা যে মাঠে যে জিনিসগুলো সহায়ক হওয়া উচিত, সে জিনিসগুলো ওভাবে আসছে না। এই ক্ষেত্রে সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রেই সবাই বলছে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে কি-না, কেন্দ্রে মারামারি হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না, এই জন্য আমাদের কাছে চলে আসে কারণে আইনে আমাদের কথা বলেছে পুলিশ, প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাদেশা সুলতানা বলেন,কেন এতো টাকার প্রশ্ন আসবে। কেন এতো টাকা খরচ করতে হবে।তবে টাকা তো লাগবেই এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশে টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। আমরা কিন্তু তার মধ্যে থাকতে পারছি না। এটা আপনারা একটু চিন্তা করেন কেন থাকতে পারছি না। এই পরিবেশ থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাটা সরে যাচ্ছে। নিশ্চয় এর মধ্যে থাকা যায় বিধায় আইনে একটি নির্দিষ্ট অংক উল্লেখ করা হয়েছিল সে সময়। না হলে আনলিমিটেড করা হতো।

তিনি বলেন, কেন এখন সেই অংকের মধ্যে থাকা যাচ্ছে না। খালি আমরা একটা নির্বাচন কমিশন এই পাঁচজন মানুষ একটা নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে বসে সব সমস্যা রাতারাতির মধ্যে একদিনের মধ্যে একেবারে আইন করে ফেলবো, এটা কিন্তু অসম্ভব। এটা কঠিন। কঠিন হবেনা আমি মনে করি যদি আপনাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে। দলগুলোকে কিন্তু একটু সংশোধনীর মধ্যে আসতে হবে, যে নির্বাচনটা সুষ্ঠু সুন্দর করার ভূমিকা সেটা কাদের মাথায় নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সবাই চালতে এটা পারেন। সবাই মিলে একটু বসেন। চিন্তা করেন। এ পর্যন্ত যতগুলো দল আসছে সবাই বলছে নির্বাচনী ব্যয়ের কথা, তো আপনারাও একটু নিজেরা বসেন না। ব্যয়টা কমিয়ে আনি। কতটা পোস্টার, কতগুলো মিটিং করলে হয়, আমরা একটু কমিশনকে বলি। সবাই সমঝোতায় এসে একটা (প্রস্তাব) দেননা। এখন আমরা যদি বলি আপনারা ১০ মিটিং করা। দল যদি মনে করে ১০টা না করলে হবে না, এখন আমরা কি বলতে পারবো দুইটা করেন। তাহলে কি মানবেন? এটা কঠিন প্রশ্ন।

আমরা এখানে বসছি সাংবিধানিক পদ্ধতিতে একটা ভাল নির্বাচন করার জন্য। আমাদের কিন্তু মোটেও ইচ্ছা নেই খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হই। এটা কিন্তু আমাদের মোটেই ইচ্ছা নেই। আমাদের এটা মনে চাওয়া। এই চাওয়াটা পূরণ করতে আপনারাও একটু সহায়তা করেন। এসময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবস সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

বিকালে বিএনপি জোটের শরিক জেএসডি সংলাপে অংম নিচ্ছে না। এরপর ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর সঙ্গে সংলাপ-সূচি রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: