বাগেরহাটে স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম

বাগেরহাটে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গনধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড়বামবাড়িয়া এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অসুস্থ্য অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার প্রতিবেশিরা। ওই নারী এখন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে সোমবার (২৫) দুপুরে বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান জানান, বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম, বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিজিয়া পারভীনসহ নারী নেত্রীরা হাসপাতালে যান। নির্যাতিতা ওই নারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, রাত পৌনে এগারোটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হই। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বড়বাসবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫), রাব্বি হাওলাদার (২২), জাহিদুল হাওলাদার (৩৫), সজীব হাওলাদার (২৫) এবং রিয়াজ হাওলাদার (২৩) আমাকে জাপটে ধরে। বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে মুখ চেপে ধরে পর্যায়ক্রমে পাঁচজনেই আমাকে ধর্ষণ করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখন শঙ্কামুক্ত, তবে কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এই ঘটনার সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিজিয়া পারভীন।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান বলেন, আমরা নির্যাতিতা ওই নারীর সাথে কথা বলেছি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ভিকটিম এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: