আমরা সাহায্য করতে চাই, সাহায্য পেতে চাই : সিইসি

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৭:৫২ পিএম

মেহেদী হাসান হাসিব, নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দল-গুলোরে উদ্দেশ্যে বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ, যেটা বহুদলীয় হবে, বহুমাত্রিক হবে এবং সব দলের সহঅবস্থান থাকবে। আমরা সাহায্য করতে চাই, সাহায্য সহায়তা পেতে চাই। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নির্বাচন ভবনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বারবার বলেছি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেউ বলবেন যে আসার আসুক, না আসলে নাই। না, আমি বলবো নির্বাচনে যদি সব দল থাকে তাহলে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। আপনিই প্রতিহত করতে পারেন। এটা কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ, যেটা বহুদলীয় হবে, বহুমাত্রিক হবে এবং সব দলের সহঅবস্থান থাকবে। আমরা সাহায্য করতে চাই, সাহায্য সহায়তা পেতে চাই।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় অনেকটা ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপরই এসে যায়। সংবিধানে সে কথা বলা হয়েছে। আমাদের যে আইন বিধিমালা গুলো রয়েছে, সে সহায়তা সরকারকে দিতে বলবো, সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। আশা-করবো সরকার সে সহায়তা দেবে। সরকারও সেটা বুঝবে। আমরাও আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

সিইসি বলেন,আমি যদি হারি সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু আমাদের মনস্তাত্ত্বিক এমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনোভাবেই হারবো না। কিন্তু হারতে তো একজনকে হবেই। এই পরিবর্তনটাও এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জিতলে খুশি লাগবে, হারলে হয়তো মনে কষ্ট লাগবে। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক যে সংকট হারা যাবে না, এটা অর্থশক্তির কারণে হতে পারে, অন্য কোনো কারণে হারা যাবে না। অথবা রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে হতে পারে। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে ওঠে আসতে হবে। গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে, এর বিকাশকে বুঝতে হবে, এর ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতাকে বুঝতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের ভূমিকা যদি ইতিবাচক নয়, সে দায় আপনাদেরও রাখতে হবে। ছোট দল হন, বড় দল হন এই জিনিসগুলো আপনাদেরও নজরতদারিতে রাখতে। নির্বাচন কমিশন এই জায়গায় দায়িত্ব পালন করে নাই। আর সেই ভীতি না থাকে আমরা তো আর ভয় পাবো না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া যাতে না হয় সেটা আমরা চেষ্টা করবো। রাজনৈতিক হয়রানি যেন না হয় সেটা কথা বলেছেন। গণহারে যদি কিছু হয় সেটা পেপার পত্রিকায় আসবে। আমরা সেটা লক্ষ্য রাখবো।

সিইসি আরো বলেন, আমরা সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন করার চেষ্টা করবো। সরকার সহায়তা দেবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। ইভিএমে হেল্প করার নামে কেউ ভোট দিয়ে দিলে সেটা আমাদের নলেজে আছে। একবার অনিয়ম হয়েছে বলে বারবার হবে এমন নয়। আশা রাখবেন, পাশে আছি ইনশাআল্লাহ।

এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। এছাড়া প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনারসহ ছাড়ও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: