নবীগঞ্জ-মার্কুলী সড়কের বেহাল দশা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে চলছে মানুষ ও গাড়ী

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

বন্যা পরবর্তী সময়ে নবীগঞ্জ-মার্কুলী সড়কের অবস্থা খুবই বিপদজনক ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে চলছে মানুষজন ও যানবাহন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসিন দেখা যাচ্ছে। ওই সড়কের ফার্মের বাজার সংলগ্ন স্থানে, নতুন বাজার এলাকায়, সোনাপুর বাজার যাবার আগে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া উক্ত সড়কের একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জনাকীর্ণ রাস্তার কারনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ছোট ছোট গাড়ী দিয়েই আসা যাওয়া করতে হচ্ছে উপজেলার বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নসহ মার্কুলী এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে সোনাপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তা ভেঙ্গে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

বাশেঁর সাকোঁ দিয়েই পাড়াপাড় করছেন লোকজন। রাস্তার দু’ পাশে থাকে ছোট ছোট গাড়ী। এছাড়া ফার্মের বাজারের সামনে বিশাল গর্তের ফলে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এলজিইডি অফিসের নীরবতায় জনমনেপ তীব্র ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমড়াখাই গ্রামের ইসলাম উদ্দিন বলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা দুঃখ জনক। অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে রাস্তায় গাড়ী বদল করে নবীগঞ্জ শহরে আসতে হয়।

সোনাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, সোনাপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে রাস্তা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বাশেঁর সাকো দিয়ে পাড়াপাড় করতে হচ্ছে। এতে বয়স্ক ও শিশু বাচ্চা এবং মহিলাদের ঝুকিঁ বেশী। স্থানীয়রা জানান, কাজিরগঞ্জ বাজার থেকে মাকুর্লী পর্যন্ত পুরো রাস্তাই ভেঙ্গে গেছে। একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামত করে লোক চলাচলের উপযোগী করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী এলাকাবাসীর। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ বলেন আমরা সড়কটির বিষয়ে অবগত নই। আমরা খবর নিয়ে সড়কটি মেরামত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানোর চেষ্টা করবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: