ট্রেন দুর্ঘটনা: বড় ভাইয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে বেঁচে গেছে তৌফিক

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২, ০৯:০৩ পিএম

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১১ জনের মধ্যে অন্যতম কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব। তাই আনন্দভ্রমণে নিজের সঙ্গে ছোট ভাই তৌফিককেও যেতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বেঁচে গেল ছোট ভাই তৌফিক। সেই স্মৃতি মনে করে তৌফিকের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। জরুরি বিভাগের সামনে বিলাপ করে বলতে থাকেন 'আমার ভাই কই? এখন কে আমারে শাসন করবে? পরামর্শ দেবে?

কান্নারত অবস্থায় তৌফিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে চলে যায় বড় ভাই। তাই বাড়ি থেকে শেষবারের মতো যাওয়ার সময়ও ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। এটি যে তার শেষ যাত্রা হবে তা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। ও ভাই তুই কেমনে এভাবে আমাকে একা করে চলে গেলি? এখন থেকে কে আমায় বকাঝকা করবে? শাসন করবে? আমি ভাই বলে ডাকবো কাকে?'

সজীব নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। জিয়াউল হক সজীব ওমরগণি এমইএস কলেজের গণিত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি ওই এলাকার যুগীরহাট এলাকার আরএন্ডজে কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন তিনি।

মুদি দোকানের কর্মচারী আবদুল হামিদের চার ছেলে মেয়ের মধ্যে সবার বড় সজীব। ছেলে বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরবে এই স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই ট্রেন দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়েছে সজীবকে। তার এমন মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনসহ এলাকার বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে মহানগর প্রভাতী ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: