সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ১১:২৫ পিএম

সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। রবিবার (৩১ জুলাই) বিকালে সাড়ে ৫টায় জেলা বিএনপির কার্যলয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্র ইসলাম অমিত।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আব্দুর রহমান, ইলিয়াছ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, মুজিবনগর উপজেলা বি এন পির সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম।

সমাবশে প্রধান অতিথি বলেন, সারাদেশে লোডশেডিং ও জালানি অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য আজ ভোলাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিমের বুকে যারা গুলি চালাবার নির্দেশ দিয়েছেন ও গুলি চালিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবার পর তাদের বিচার হবে। সাতক্ষিরার শ্যাম নগরের উপজেলায় আগত তিন মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্র লীগের গুন্ডারা। জাতীয়বাদি দলের রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য। তাই আপনারা যতই হামলা বা মামলা চালান, আমাদের গুম খুন করেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের ন্যায় সংগত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবনা।

শহরে ৪ ঘন্টা আর গ্রামে বিভিন্ন ভাবে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকছে। যে কৃষক বাংলাদেশের অর্থনীতি চাকা সচল রেখেছে, সেই কৃষক যদি বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয় তাহলে তারা কিভাবে সেচের কাজ করবে? কৃষক যদি সার না পায় তাহলে কিভাবে ফসল ফলাবে? আজ ৪১ দিন যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছেনা। সার কারখান কর্তৃপক্ষ কৃষি মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছে তাদের ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা আর্জন সম্ভাব হবেনা। কৃষকরা ইউরিয়া থেকে বঞ্চিত হবে যার নিতীবাচক প্রভাব আমাদের উৎপাদনে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, এই বাংলাদেশের অবস্থান শীলংকার চেয়ে বহাবহ হতে বাধ্য। সরকার বিদেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য ও তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য আমদানি নির্ভর জ্বালানী খাতে পরিনত করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরকার একইউনিট বিদ্যুৎ গ্রহণ না করে, দেশ বিরধী চুক্তির অংশ হিসাবে প্রতি মাসে শত কোটি থেকে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের হাতে মাত্র ১১ দিনের জ্বালানী রয়েছে। যদি দ্রুত তম সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেল বাহি কন্টেনার বন্দরে না ভেড়ে তাহলে আগামী ১১ দিন পর সকল যানবহন বহন বন্ধ হয়ে যাবে। বিদুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায়, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: