শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হল কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘কবিতাকুঞ্জ’

প্রকাশিত: ০২ আগষ্ট ২০২২, ১২:২৫ পিএম

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রতিষ্ঠিত ‘কবিতাকুঞ্জ’ শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালটির ভাইস সেন্সলর (ভিসি) শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই অনুমোদনের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।

তিনি জানান, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত কবি নির্মলেন্দু গুণ নেত্রকোনা জেলা শহরের মালনী এলাকায় মগরা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠা করেন কবিতা ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। কবির নিজ জেলায় গড়ে তুলা এ প্রতিষ্ঠানটিকে কবি বিশ্বকবিতার বাসগৃহ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এ গৃহে অন্তত ৯০টি দেশের কালজয়ী কবিদের রচিত প্রায় ২ হাজার কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়, বিভিন্ন সময়ে রচিত কাব্যসম্পদ নিয়ে তুলনামূলক গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ওই বিষয়সমূহ উল্লেখ করে কবির পক্ষ থেকে কবিতাকুঞ্জকে নেত্রকোণায় প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যলয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মীকরণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষকে। এ প্রস্তাব এবং বাংলা সাহিত্য ও ইংরেজী সাহিত্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তুলনামূলক সাহিত্য ও বিশ্বকাব্যকে একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে চালু করার বিবেচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়। অনুমোদন রেজুলেশনটি সিন্ডিকেট সভার ১০ জন সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে।

কবিতাকুঞ্জকে বিশ্ববিদ্যলয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মীকরণ করার প্রস্তাব দেবার প্রেক্ষিতে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, তার অবর্তমানে ‘কবিতাকুঞ্জ’ একটি অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে যেন পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যেই তিনি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কবিতাকুঞ্জের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

তিনি জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি লীজ নিয়ে ২০১৬ সালে বিশ্বকবিতার বাসগৃহ হিসেবে ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামের এ প্রতিষ্ঠানটি তিনি গড়ে তুলেন। ওই বছরটিতে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারের যে অর্থ পেয়েছিলেন সে অর্থ তিনি ব্যায় করেছিলেন ‘কবিতাকুঞ্জ’ গড়ার কাজে। অবশ্য, প্রতিষ্ঠানটি গড়তে প্রয়োজনের তুলনায় এ অর্থ কম থাকায় তখন তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার বহু অনুরাগী-সুহৃদ এই প্রতিষ্ঠানে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।

কবিতাকুঞ্জের দেয়ালে অর্থ সহায়তা প্রদানকারীদের নাম ও তাঁদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ তিনটি ডোনার বোর্ডে লিপিবদ্ধ আছে। চতুর্থ ডোনার বোর্ডটি এখন প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তাঁরা সবাই কবিতাকুঞ্জের সম্মানিত সদস্য হিসাবে গণ্য হন এবং ভবিষ্যতেও হবেন। অর্থ সহায়তা ছাড়াও, যারা কবিতাকুঞ্জকে বিভিন্ন দেশের কাব্যগ্রন্থ এবং কাব্যবিষয়ক আলোচনা গ্রন্থ দিয়ে কবিতাকুঞ্জের সংগ্রকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁরাও কবিতাকুঞ্জের সম্মানিত সদস্য আছেন এবং থাকবেন।

নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মীকরণের মাধ্যমে ‘কবিতাকুঞ্জ’ প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব ও সহজ হবে বলে বিশ্বাস করেন কবি নির্মলেন্দু গুন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: