ঢাকা কলেজে হলে না থেকেও দিতে হচ্ছে হল ফি, চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ওমর ফারুক, ঢাকা কলেজ থেকে: হলে থাকেন না তবুও ফি দিতে হচ্ছে ঢাকা কলেজের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থীকে। ফরম ফিলাপের সময় গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে ও কোন শুরাহা করতে পারেনি এসব শিক্ষার্থী। ফি পরিশোধ না করলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না, কতৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।
করোনার সময় দ্রুত টিকা নেওয়ার জন্য ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসে ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন করেছিলেন ২০১৯-২০ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। যদিও একদিনের জন্যও হলে থাকা হয়নি তার। তবে পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে এসে দেখেন অতিরিক্ত হল ফি এসেছে ৩ হাজার টাকা। বিষয়টি ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত করেন। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ স্যারের পিয়নের মাধ্যমে দরখাস্ত টি পাঠানোর পর আমাদের সমস্যার কোন সমাধান করা হয়নি। পরে বাধ্য হয়েই আমি এবং আমার ১০-১২ জন বন্ধু তিন হাজার টাকা করে হল ফি পরিশোধ করেছি।
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান তানভীর বলেন, একটা অবাক করা বিষয় দেখলাম যখন আমি হলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম স্যার এর কাছে তখনই দেখি অন্য একটা ছেলেকে বলতেছে তুমি এক ঘন্টা থাকলেও হলের ফি দুই বছরের ৬ হাজার টাকা দিতে হবে। কি অদ্ভুত ভাবতে পারেন? অনেক ছেলে যারা কোনো দিন এক রাতও হলে ঘুমায়নি তাদেরও হল ফি চলে এসেছে, কথা বলতে গেলে স্যার সরাসরি বলেন হলে না থাকলে নাম কি আকাশ থেকে এসেছে?
তারা একবারও ভাবে না যে ছেলেগুলো গ্রাম থেকে এখানে এসেছে তারা কি বলে সেটা একটু ভাবা উচিত !
এ বিষয়ে উত্তর ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট সহকারি অধ্যাপক ওবাইদুল করিম বলেন, কোভিড চলাকালীন অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীর দ্রুত টিকা দেওয়ার জন্য হলের ঠিকানা ব্যবহার করেছে। ওই শিক্ষার্থীদেরই হল ফি এসেছে। এই ফর্মগুলো আমরা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছি। তাই তাদের হল ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হল প্রভোস্ট বলেন, হলে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের নাম ব্যবহার না করে ডিপার্টমেন্টের অন্য শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করেছে। ওই শিক্ষার্থীরা ছাত্র নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে প্রতিবছর এমন সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মঈনুল হোসেন বলেন, বিষয়টি হলের প্রভোস্টরা দেখছেন। কোন শিক্ষার্থীরা হলে থাকেন আর কারা থাকেন না এটা তাদের কাছেই তথ্য রয়েছে। তাই হল প্রভোস্টরা যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই চূড়ান্ত। এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: