দুই সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লো প্রবাসীর স্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩ আগষ্ট ২০২২, ০৯:৪০ পিএম

নড়াইলের লোহাগড়ায় পরকীয়ার টানে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন এক গৃহবধু। তিনি দুই সন্তানের জননীও বটে। এ ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার। গত সোমবার লোহাগড়া পৌরসভার কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধুর নাম জান্নাতুল বেগম।  এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সন্তান ফাহিম (১১) ও মহেমিন (৫) দিন-রাত কেঁদেই চলছে মায়ের জন্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাচই গ্রামের মৃত আ.রউফ মোল্যার ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী মো. জান্নাতুল বেগম এর সাথে কোটাকোল গ্রামের এনামুল খানের ছেলে ইমরান খাঁন (৩৮) মিথ্যা ভাইবোন সম্পর্ক গড়ে তুলে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে মোবাইলে চলতে থাকে তাদের প্রেম।

একপর্যায় তারা অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। ইমরান এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত এবং সে আগে বিবাহ করিছিল তার প্রথম স্ত্রী তাকেও ছেড়ে চলে গিয়েছে সেই ঘরে একটি কন্যা সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী পাপিয়া বেগমকে ও প্রেমের প্রলভন দেখিয়ে বিবাহ করে সেখানেও দুই মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে এখন দারে দারে ঘুরছে পাপিয়া বেগম।

প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি প্রবাসে থাকার সুযোগে ইমরান খাঁন ও আমার শাশুড়ি রওশনারা বেগম ও আমার স্ত্রীর বড় বোন অরথী বেগম আমার স্ত্রীকে কৌশলে ফুসলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় জান্নাতুল বেগম ৩২ লাখ টাকা ও ২১ ভরি গহনা নিয়ে গেছে। দুটি সন্তান মায়ের জন্য শুধুই কান্নাকাটি করেছে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলামের বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ জান্নাতুল বেগমের মা জানান, বিয়ের পর জামাই প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে নিয়ে থাকত। লোহাগড়া কলেজপাড়ায় তিনতলা নিজ বাড়িতে রেখে গত একমাস আগে জামাই সৌদি আরবে চলে যায়। এখন মেয়ে জান্নাতুল কোথায় আছে জানি না। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: