বিয়ের ৩ দিন আগে প্রেমিকের টাকা পয়সা নিয়ে উধাও প্রেমিকা

প্রকাশিত: ০৪ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম

কথা ছিলো দু'জন মিলে বাঁধবেন সুখের ঘর, একে অপরের পরিপূরক হযে থাকবেন সারাজীবন। কথা মতো সবকিছু ঠিকঠাকই ছিলো, বিয়ের মাত্র তিনদিন আগেই যে সব স্বপ্নের ধুলিস্যাৎ হবে কে জানতো? এমনই হতভাগ্য এক ঘটনা ঘটেছে প্রেমিক কণ্ঠশিল্পী মহিউদ্দিন এনামের সাথে৷ কুমিল্লার মেয়ে কুলসুমের সাথে মাত্র তিন মাসের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মায়ার বাঁধনে। তাই দেরি না করে চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে কুলসুমকে ঘরে তুলে আনতে সব রকম প্রস্তুতিও ছিলো মহিউদ্দিনের।

জানা যায়, গেলো ২৮ জুলাই রাতে শিল্পী মহিউদ্দিন প্রেমিকা কুলসুমকে নগদ ২ লাখ টাকাসহ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেয়। আর এতেই লোভ পড়ে লোভী প্রেমিক কুলসুমার। পরদিন ২৯ জুলাই সকালে মহিউদ্দিনের সব টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় কুলসুম। তারপর থেকে কুলসুমের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ এ নিয়ে মানসিক বিধ্বস্ত দূর্ভাগা ঐ প্রেমিক। এ মেয়ের সন্ধান কেউ দিতে পারলে তাকে নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মহিউদ্দিন। এ বিষয়টি চট্টগ্রামজুড়ে এখন আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আত্মবিশ্বাসের প্রতি মানুষের আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকে।

কণ্ঠশিল্পী দূর্ভাগা প্রেমিক মহিউদ্দিন এনামের সাথে এ বিষয়ে আলাপ হয় বিডি২৪লাইভ-এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধির। এসময় তিনি জানান, আমার সাথে প্রতারণা করে কুলসুম এককালীন নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ টাকা ছাড়াও গত তিন মাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছে। যার প্রমানও আমার কাছে আছে। আমার প্রাথমিক হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। বিশ্বাস করেছিলাম আপন ভেবে, কিন্তু বড় ধোঁকা দিয়েছে আমায়।

আলাপকালে শিল্পী মহিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনার পর আমি খবর নিয়ে জানতে পারি ঐ মেয়ে একজন প্রতারক। ইতোপূর্বেও কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম পরপর দুইটি বিয়ে করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমার সাথে সম্পর্ক করার সময়ে ঐ প্রতারক মেয়ে চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ টেকনিক্যালস্থ টি.কে গ্রুপের একটি স্যুজ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। কুলসুল নামের ছদ্মবেশী ঐ প্রতারক তরুণীকে চট্টগ্রামে রাজিয়া নামে ডাকলে অনেকে চিনবে। তার বাসা ছিলো মোজাফফর নগর ৩নং গলির মুখে। তার নিজ বাড়ি কুমিল্লার লালবাগ বড় বাড়ি বলে জানায় মহিউদ্দিন।

মহিউদ্দিন আরও জানান, আমি এ বিষয়টি নিয়ে স্থানিয় প্রশাসনের কাছে গেলে তারা আমাকে কোনোরকম সহযোগিতা করেনি। আমি ঐ প্রতারক মেয়েকে চাই না, শুধু আমার সারা বছরের উপার্জনগুলো ফিরিয়ে চাই। আমি এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। প্রশাসনকে আমি অনুরোধ করবো আপনারা আমাকে সহযোগী করুন। ঐ মেয়ের কল লিস্ট বের করে তাকে ট্র্যাক করতে পারবেন আপনারা। আমার এ পিরিয়ড সময়ে আমার পাশে থাকুন প্লিজ।

এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বিডি২৪লাইভ ডট কমকে বলেন, মহিউদ্দিন থানায় এসে সেবা না পওয়ার বিষয়ে আমি জ্ঞাত নই। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হতে পারে। আমাকে মহিউদ্দিনের নাম্বার দিন, তার সাথে কথা বলে তার সেবা নিশ্চিত করবো আমরা। খুলশি থানায় জনগণের দুয়ার সব সময়ই খোলা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: