বৃহৎ দুই মেগা প্রকল্পের মালামাল মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানীকৃত কয়লার প্রথম চালান নিয়ে শুক্রবার (৫ আগস্ট) মোংলায় এসেছে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এদিন মোংলা বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া ১১ নম্বরে নোঙ্গর করে জাহাজটি। বাণিজ্যিক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং এন্ড লজিষ্টিক এর ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কয়লার প্রথম চালানটি শুক্রবার মোংলা বন্দরে এসে পৌছেছে। এরপর বন্দরের হরবারিয়া এলাকা থেকে লাইটার যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছানো হবে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীম বলেন, আমদানীকৃত এই কয়লা দিয়ে আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালানো হবে। তারপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। একই দিনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২য় চালান নিয়ে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি ড্রাগন বল ৫৬০১ মেট্রিক টন মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরের হারবারিয়ার ৭ নং বয়ায় নোঙ্গর করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার মোংলা বন্দরে এসেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই এমভি আকিজ হেরিটেজ নামক একটি জাহাজ। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে এমভি ড্রাগনবল নামক আরো একটি জাহাজ। বন্দর চেয়ারম্যান জানান, দেশের বৃহৎ দুটি মেগা প্রকল্প রামপাল পাওয়ার প্লান্ট ও রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আগমনের ফলে দেশের একটি নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে রামপাল উপজেলার সাপমারী-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির উপর কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা সই স্বাক্ষর হয়। এরপর ২০১২ সালে ২৯ জানুয়ারী দুই দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানী বিপিডিবি ও এনপিপিসি যৌথ কোম্পানী গঠন করে। ২০১২ সালেই আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণ কাজ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে। আগামী অক্টোবরে উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: