সিরাজগঞ্জে বানিজ্যমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে পত্রিকার সম্পাদকের সাথে প্রতারণা

প্রকাশিত: ০৫ আগষ্ট ২০২২, ০৬:৫২ পিএম

বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির এপিএস ও যুগ্ম সচিব পরিচয়ে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক যমুনা প্রবাহর সম্পাদক মোস্তফা কামালকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগতে রাতে দৈনিক যমুনা প্রবাহর নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল জানান, ০১৯৯১-৫৬২২৪১ মোবাইল নম্বর থেকে তার ব্যক্তিগত নম্বরে রাশেদ নামে এক ব্যক্তি ফোন করে নিজেকে বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর এপিএস পরিচয় দিয়ে বলেন সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে কিছু প্লান্টের কাজ করতে বানিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশী ও বিদেশী ১৭ জনের একটি টিম আসছে।

তাদের জন্য ভিআইপি হোটেলে থাকা- খাবার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা ৫ দিন সেখানে থাকবেন। ওই ফোনেই এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদ বানিজ্যমন্ত্রীর স্যারের সাথে কথা বলুন বলে জনৈক এক ব্যক্তির হাতে ফোন দেন। যার কন্ঠস্বর বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সাথে হুবহু মিল রয়েছে। মন্ত্রী পরিচয় দানকারী ব্যক্তি রাশেদের কথার রেশ ধরে মোস্তফা কামালকে বলেন, আপনি বিষয়টি সমন্বয় করেন। তাদের কথামতো মোস্তফা কামাল স্থানীয় অভিজাত হোটেলে রুম ও রেষ্টুরেন্টে ৫ দিনের থাকা-খাবার জন্য বুকিং দেন। ৫ দিনে সব মিলিয়ে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা বিল দাড়ায়।

এ টাকার বিষয়ে এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদের সাথে বললে তিনি শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নম্বর (০১৭৭-৩৫৬০৬৭৩) দেন। যাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব বলে উল্লেখ করে বলেন, তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবেন। ওই নম্বরে মোস্তফা কামাল ফোন দিলে শহীদুল ইসলাম নামে বলেন, আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বরটা দেন। যেহেতু সরকারি টাকা তাই এ টাকা জমা হবার আগে একটা ফি দিতে হয়। এই বলে নিজের নগদ নম্বরে ১৯ হাজার টাকা দিতে বলেন। পরবর্তীতে এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদও একই কথা বললে মোস্তফা কামাল সরল বিশ্বাসে টাকা পাঠিয়ে দেন।

এরপর নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা না ঢুকলে তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করেন। দুই ঘন্টা ধরে ব্যাংকে টাকা ঢুকে যাবে বলে মোস্তফা কামালকে আশ্বস্ত করার পর হঠাৎ ফোনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির বলেন, সম্পাদক মোস্তফা কামালের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: