বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত না হলে খুনিদের পুরস্কৃত কেন: কাদের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জেনারেল জিয়াউর রহমান যদি জড়িত না-ই থাকেন তাহলে তিনি কেন খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার (৬ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ প্রশ্নটি করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ আমি একটা প্রশ্ন করব, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেক বার করেছি কিন্তু কোন জবাব পাইনি। জেনারেল জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না-ই থাকতেন, খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিল? এ সময় বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি খন্দকার মোশতাককে পলাশীর মীর জাফর আলী খান ও জিয়াউর রহমানকে রায় দুর্লভ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাদের সেনাপতি হিসেবে ইয়ার লতিফের নাম উচ্চারণ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত ছুঁড়েছে পঁচাত্তরে। কেন ৭৫ এর খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো? এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি কোনোদিনও দিতে পারবে না। খুনিদের বিচার বন্ধে যারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল-তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।
কাদের বলেন, মাঝে মাঝে ভাবী পঁচাত্তরের ঘাতকদের সাথে কীভাবে কর্ম সম্পর্ক রাখবো রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা কারা? এরা তাদেরই রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতি ছিল হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি৷ বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড, তারাই শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রেরণাদায়িনী মা শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বায়দুল কাদের ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্পর্কে বলেন, তিনি শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। তিনি কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার? নয় বছরের শিশু শেখ রাসেল কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার? কী অপরাধ তাদের?
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: