চীনে আটকা পড়েছে ৮০ হাজারের বেশি পর্যটক

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০২২, ০৭:৫৬ পিএম

সারা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ভাইরাসটির দাপট নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছিল মানুষ। কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েক দিন ধরে আক্রান্ত ও মৃত্যু আবারো ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে জারি করা হচ্ছে আবারো লকডাউন। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়ায় কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে ‘চীনের হাওয়াই’ নামে পরিচিত অবকাশযাপন শহরটিতে ৮০ হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকা পড়েছে।

মূলত এই শহরটিতে বিগত কয়েকদিন থকেই করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বেড়ে গেছে। ফলে সেখানে কঠোর লকডাউন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান দ্বীপপুঞ্জের এই  শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। সেখানে আজ রোববার (৭ আগস্ট)   নতুন করে ৪৮৩টি কেস শনাক্ত হয়েছে। এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এমনকি ট্রেনের টিকিট বিক্রিও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব পর্যটক শহর ছেড়ে যেতে চান তাদের অবশ্যই গত সাতদিনে পিসিআর টেস্টে কমপক্ষে পাঁচটিতে নেগেটিভ ফলাফল দেখাতে হবে।

তবে যতদিন বিধিনিষেধ শিথিল না হবে ততদিন পর্যটকদের জন্য ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শহরের হোটেলগুলো। স্থানীয় সময় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এখন পর্যন্ত চীনই একমাত্র দেশ যারা শূন্য-কোভিড নীতি অনুসরণ করছে। এর আওতায় কঠোর লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন, গণটেস্টিং, ট্রেসিং চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। দেশটিতে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চীন। এখন পর্যন্ত তারা করোনার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের শুরু থেকে দেশটি দীর্ঘ সময় তাদের সীমান্তও বন্ধ রেখেছিল। এদিকে সানিয়া শহরে এখন পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এর মধ্যেই সেখানে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো। গত সপ্তাহ থেকেই পাব, বার, স্পাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সুপারমার্কেট এবং ফার্মেসির মতো প্রয়োজনীয় সেবা চালু রাখা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: