বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা দিচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০২২, ০৮:১৮ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের শোষন-বঞ্চনার কৌশল। শুধু রাজনৈতিক মুক্তিই নয়, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যও ছিলো বঙ্গবন্ধুর। তাই তাঁর ঘোষিত ছয় দফার মধ্যে তিনটিই ছিল অর্থনীতি বিষয়ক।

গতকাল রোববার (৭ আগস্ট)  রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনে সংস্থাটির আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই বঙ্গবন্ধু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ শেষ করতে পারেননি। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর এনে দেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি আনার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা আজ বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। পদ্মা সেতু নিজ অর্থে তৈরি করে বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টালেনসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ এখন একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। সারা বিশ্ব উন্নয়নের প্রশংসা করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। মানুষের অকল্যাণের জন্য কোনও কাজ করেন না। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হচ্ছে। এগুলো খুবই সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। দেশ স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে। দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও সক্রিয় আছে। তারা বিভিন্নভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম, এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম. মাহফুজুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি'র প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান, এফবিসিসিআই'র প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: