ব্রীজ নির্মানের ২ বছর পর বলা হচ্ছে ত্রুটি ছিলো ডিজাইনে!

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৩:৩৩ পিএম

বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি'র) নির্মাণাধীন একটি ব্রীজের মূল অবকাঠামো নির্মানের পর বলা হচ্ছে ব্রীজের এপ্রোস সড়কের ডিজাইনে ত্রুটি ছিলো! বরগুনা সদর উপজেলার এম, বালিয়াতলী ইউনিয়নে চালিতাতলী জিসি-নলী জিসি সড়কে নলী মাইঠা গ্রামে খালের উপর ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দে ব্রীজ নির্মানের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি।

২০/৭/২০২০ তারিখ "শাহিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে ২ কোটি টাকায় কাজটি অপর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট অলিখিত ভাবে বিক্রী করে দেয়। ৩০/৯/২১ তারিখের মধ্য ব্রীজ নির্মান শেষ হবার সময়সীমা নির্ধারণ থাকলেও ২ বছরের বেশী সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ব্রীজের নির্মান শেষ হয়নি। সরেজমিনে ঐ এলাকা ঘুরে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের চলাচলে ভোগান্তীর কথা।

কৃষক জুলহাস বলেন, আমরা ব্রীজটি না হওয়ায় চরম দূরবস্হায় আছি। কৃষি পণ্য নিয়ে যানবাহনে আমরা যেতে পারছিনা। চেয়ারম্যান একটি কাঠের ছোট পুল করে দিয়েছেন যা দিয়ে পথচারী চলাচল করা যায়।

এম, বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমূল হাসান নাসির বলেন, একাধিকবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। শুনেছি ব্রীজের নকশায় সমস্যা রয়েছে। ঐ এলাকার জনগনের যাতায়াতে খুবই ভোগান্তী হচ্ছে। ব্যাক্তিগত উদ্দোগে খালের উপর দিয়ে একটি পুল করে দিয়েছি।

বরগুনা সদর উপজেলা এলজিইডি' প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের মূল অবকাঠামো শেষ হয়েছে, এপ্রোস নকশায় ত্রুটি থাকায় এপ্রোস সড়ক নির্মানে বিলম্ব হচ্ছে। নতুন করে এপ্রোস সড়কের নকশা করে শীর্ঘ্রই অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: