১০০ গাছ রোপণের শর্তে আসামিদের মুক্তি দিলেন আদালত

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৭:৪৬ পিএম

আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে দুই আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে ১০০ গাছের চারা রোপণ ও বিভিন্ন শর্তে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন আদালত। মৌলভীবাজার জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের আদালত এ রায় দেন।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ মার্চ জুড়ী থানাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মারামারির ঘটনা কেন্দ্র করে চন্দন কুমার দাস বাদী হয়ে কবির আহমদ, মুহিবুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩২৩ ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় প্রত্যেককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। অভিযুক্তদের জীবনে প্রথমবারের মতো অপরাধ বিবেচনায় ও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রায় সাত বছর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার কারণে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেন আদালত।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশনার আলোকে মৌলভীবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে এর দৃশ্যমান প্রয়োগ শুরু হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল হোসেন ইকবাল বলেন, ‘প্রথম ও লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে প্রবেশন খুব ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে অভিযুক্ত নিজেদের সংশোধনের চমৎকার সুযোগ পাচ্ছেন।’

মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পিপি এএসএম আজাদুর রহমান বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী কারাগারে আবদ্ধ কক্ষে নয়, মুক্ত বাতাসে পরিবার পরিজনের সান্নিধ্য পাবে, যা অভিযুক্তদের সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এ ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউটর রাধাপদ দেব সজল বলেন, ‘অধ্যাদেশটি অনেক পুরোনো হলেও প্রয়োগ ছিল না। এখন এর প্রয়োগের ফলে অনেক অপরাধী সংশোধনের সুযোগ পাবেন।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: