সোনাগাজীতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলৎকার ঘটনায়, ধর্ষকের সহযোগী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০ আগষ্ট ২০২২, ১০:২১ পিএম

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী থেকে: সোনাগাজীর ১নং চরমজলিশ পুর ইউনিয়নের চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় আরাফাত হোসেন (১০) নামের এক শিক্ষার্থীকে যৌননির্যাতন করে আসছে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক নুরনবী। ভিকটিমের মা নুর জাহান বেগম জানান, আমার ছেলেকে চান্দলা মাদ্রাসায় পড়ার লেখা করার জন্য ভর্তী করি। যাতায়াতে দুরত্ব হওয়ায় আবাসিকে তাকে থাকতে দিই।দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলেকে নুরনবী যৌনির্যাতন করছে বিষয়টি আমরা জানতামনা। গত কয়েকদিন আগে কোন কারন ছাড়া আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসে।

আমি তাকে মারধোর করে আবার মাদ্রাসায় দিয়ে আসি, আমি বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে আবার বাড়িতে চলে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে মাদ্রাসায় যেতে অস্বীকার করে। কারন জানতে চাইলে সে কাঁদতে কাঁদতে নুরনবী কৃতক যৌন নির্যাতনের বিষয়টি বিস্তারিত সে খুলে বলে। তার ছেলের মলত্যাগে করতে কষ্ট, ও মুখে ইনফেকশন হওয়ার কথা মাকে জানায়। আরাফাত সাথে কথা বললে সে জানায় হুজুরের লিংগ তার মুখে ডুকিয়ে জোর করে চোষাতে বাধ্য করতো, পায়ুপথে বলৎকার করতো, কাউকে বললে তাকে প্রানে মেরে পেলার হুমকি দিতো।

আরাপাতের আব্বা জাকির হোসেন জানান, এই বিষয়ে আমি মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানের কাছে বিচার দিয়েছি, তিনি বিচার না করে অপরাধীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। এই বিষয়ে নুরনবীর বক্তব্য জানতে চাইলে নুরনবী পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।নুরনবীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপোলে। এই ঘটনায় বাদী হয়ে আরাফাতের মা সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রার মুহতামিম গোলাম রহমানকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: