প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে সেতু, দেখার কেউ নেই

   
প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০২২

সজনার হাওর ও কোপা নদীর সংযোগ স্থলে ফতেহপুর সেতুটির নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে শত ফুট গভীর হয়েছে। ফলে যেকোন সময় মূল সেতুই ধসে পড়া আশংকায় রয়েছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন অংশেই সতর্কতা কিংবা সাবধানতামূলক কিছু সাঁটায়নি। এতে করে যে কোন সময় সেতু ধসে পড়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুটিসহ সড়কের সংস্কার ও মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সেতুটি সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফাতেহপুর সেতু।

এই সেতুটি দিয়ে সুনামগঞ্জের চার উপজেলার যোগাযোগের মাধ্যম। সেতুটির উভয় পাশের মাটি সরে ও সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষ।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, বন্যা পূর্ববর্তী সময়ে সুনামগঞ্জ সড়ক ও ফতেহপুর ইউনিয়নের জনপথ ভাঙ্গনে বস্তা ফেলে সংস্কারের চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু বস্তা ফেলার কয়েকদিনের মাথায় ফের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সেতুর দুই মুখ। এছাড়াও এই সড়কটি বন্যায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ থেকে ফাড়ি পথ ব্যবহার করে চলাচলকারীরা তাহিরপুর উপজেলায় গেলেও মূলত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ- বিশ্বম্ভরপুর-ফতেহপুর-আনোয়ারপুর-তাহিরপুর যাতায়াতের প্রধান সড়ক হচ্ছে এটি। এছাড়া এ পথ ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন পথে যাতায়াত করছে।

সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুর ভাঙ্গন ঠেকাতে ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দও দিয়েছে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু এত টাকা বরাদ্দের পরও সঠিক ভাবে কাজ না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।

পথচারী আশরাফুল ইসলাম সুমনসহ অনেকেই জানান, সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার অন্তত হাজারো গ্রামের মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

সেতুর পাশের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের ফতেপুর সেতুর দুই পাশের এপ্রোচ ভেঙ্গে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। দু’দিকের এপ্রোচের প্রায় সবটুকু ভেঙ্গে সামান্য অংশ সেতুর সাথে যুক্ত রয়েছে। আর অল্প বৃষ্টি হলে বাকিটুকু ধসে সেতুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে।

মটর সাইকেল চালক জসিম মিয়া জানান, সেতুর এপ্রোচ অংশ বছর খানেক আগ থেকেই ভাঙ্গন দেখা দেয় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। ভাঙ্গনকৃত সেতু দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোটরসাইকেল ও পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হয়ে চলাচল করছে।

টমটম চালক জাকির মিয়া জানান, আগে এই সড়ক দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতাম এখন আর করার সুযোগ নেই। কারণ সড়ক ভেঙেছে এখন সেতুর ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার যাত্রীরা পায়ে হেটে চলাচল করছে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, জিও ব্যাগ ফিলিং করা হয়েছিল। কিন্তু পানির গভীরতা থাকায় সেটা টিকেনি আর বন্যা হওয়ায় ব্রিজটি আরও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখন কাজ করলে টিকবে না। নভেম্বর মাসের দিকে এখানে আরসিসি ফাইলিং করে আমরা প্রটেকটিভ ওয়ার্ক করব।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: