সেপটিক ট্যাংকে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের তদন্তের নির্দেশ

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী থেকে: চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৬ তারিখ হালকা বৃষ্টি তে কাঁথা মুড়িয়ে ঘুমানো তিন ভাই সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে আদালত আবেদন আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এ আদেশ দেন। প্রসঙ্গকারনে, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের লোকসমুহের বাড়ি বাগেরহাটে হওয়ায় এবং লোকসমূহের সামর্থ্য না থাকায় কেউ মামলা দায়ের করেন নি।
ফেনী জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলন-বামাস’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন।
আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানি শেষে এ হতাহতের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেন।
এ ঘটনায় ভবন মালিক জামায়াত নেতা রুহুল আমিন ও তার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সোহাগকে আসামি করা হয়েছে।
আবেদনকারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাই নিহতের ঘটনায় ভবন মালিক রফাদফা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। বিল্ডিং কোড ও পৌরসভার শর্ত অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তাই এর বিচার চেয়ে এবং ভবন মালিক রুহুল আমিন ও তার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সোহাগকে আইনের আওতায় আনতে মামলা করা হয়েছে। আশা করি আদালতে ন্যায়বিচার পাবে নিহতের পরিবার।
ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের নির্মাণাধীন একটি ভবনে গত ২৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভবনের নিচ তলায় একটি সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। এতে বাগের হাটের মোড়েলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের ছৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী (৫২), মো. আবদুর রহমান মুন্সী (৪৯) ও মো. মুনীরুজ্জামান মুন্সীর (৪২) শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: