কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রোমোটরের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে

প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০২২, ০৪:০০ পিএম

১৩ বছরের আঁখি আক্তারকে ঘরোয়াভাবে নানা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিচ্ছেলেন বাবা আজিজুল ইসলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেই বিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের জেন্ডার প্রোমোটর মামুনুর রশিদ। ১০৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। পরে বাবা আজিজুল ইসলাম মেয়েকে ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেন।

ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ফকিরাপাড়া গ্রামে। মেয়েটি তাম্বুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সে তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরীর ক্লাবের একজন সদস্য বলে জানা গেছে।

বাল্যবিয়ের বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল জানান, আমি খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মেয়েটির সাথে কথা বলে জানতে পারি তার অমতে তার বাবা-মা বাল্যবিয়ে দিচ্ছেলেন। সবার সহযোগিতা নিয়ে পরে আমরা বিয়ে বন্ধ করে দেই।

উপজেলা কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের জেন্ডার প্রোমোটর মামুনুর রশিদ বলেন, আমার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে ভিজিট ছিল। সেই সময়ে গোপন সংবাদে জানতে পারি ওই গ্রামে ১৩বছর বয়সের একজন মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে তার বাবা-মা। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানাই। এবং সবার সহযোগিতা নিয়ে বাল্যবিয়েটা বন্ধ করতে সক্ষম হই। পরে মেয়েটির বাবা আজিজুল ইসলাম মেয়েকে ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেন। মেয়ের বাবা আজিজুল ইসলাম ও মা মনজিলা বেগম বাল্যবিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ সময় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক আক্তারুন নাহার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারী হাবিব মিয়া সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: