কুবি ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২২, ১১:০৮ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর চিঠি জমা দিয়েছেন।

চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় এই যে আমাদের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৎ আচরণ করে। কোন বিষয়ে উনার কক্ষে দেখা করতে গেলে উনি খারাপ আচরণ ও অনেক সময় "Who are you" বলে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের সময়ও শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে। বিভিন্ন সময় উনি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়েও শ্রেণী কক্ষে অশালীন কথা বলেন। উনি ব্যক্তিগত, এমনকি বাজারের কাজেও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন। কোন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করতে গেলে উনি বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।

এই নিয়ে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগীয় প্রধান প্রায় সময় আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। ক্লাসে ছোটখাটো বিষয় নিয়েও বকাঝকা করেন। বিভাগের কোনো অসঙ্গতি, অনিয়ম নিয়ে কোথাও মন্তব্য করলে সেটা নিয়ে মিটিং কল করে জুনিয়র ব্যাচের সামনে সিনিয়রদের অপমান করেন। বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা নিয়ে উনার কাছে গেলে আমাদের সাথে কথা না বলে নানা কাজের ব্যস্ততা দেখাতেন আর বকাবকি করে রুম থেকে বাহির করে দিতেন। এমন ঘটনা সবসময় হতো, আমরা এসব সহ্য করতে না পেরে শেষে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। যাতে ওনার আচরণ পরিবর্তন হয় এবং শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বজায় রাখতে পারি।

আরেক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কোন স্বাক্ষর বা কোন কাজে গেলে সবসময় বলতো এটা আমার অফিস টাইম না। বিভিন্ন সময় দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতো। অনেক শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বা বিভিন্ন কাজে স্বাক্ষরের জন্য অনেক দূর থেকে আসত তবুও তিনি স্বাক্ষর দিত না। এমনকি শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর না পেয়ে কান্না করে চলে যেতেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, বিভাগের সভাপতির এধরণের আচরণে সহকর্মী হিসেবে আমরা লজ্জিত এবং বিব্রত। উনি শুধু শিক্ষার্থীদের সাথেই এ ধরণের আচরণ করতেন না, আমাদের সবার সাথেই এমন আচরন করেন। প্রায়ই উনি বিভাগের শিক্ষকদের নামে মিথ্যাচার করেন। মতের অমিল হলে হেনস্থা করেন। সম্প্রতি জুনিয়র শিক্ষকদের নিজের গ্রুপে নেয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বিভাগটির সভাপতি ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, এ কাজ আমাদের কোন শিক্ষার্থীরা করতে পারে না। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তুমি যদি ২ শতাংশ শিক্ষার্থীও আমার প্রতি অসন্তোষ থাকে আমি সব ছেড়ে দিব। আমি প্রতিটি এই মিডটার্মের পর খাতা শিক্ষার্থীদের দেখাই। অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা আমাকে অভিযোগ দেয়ায় শিক্ষকরা আমার নামে মিথ্যাচার করছে।

এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ক্ষুদে বার্তায় জানান, আমি বেনামি একটি অভিযোগ পেয়েছি। যারা চিঠি দিয়েছে যদি তারা স্বাক্ষর করে বা আমার সাথে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দেয় তাহলে আমরা খোঁজ খবর নিব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: