১০ টাকা চালের ভোক্তা নিবন্ধনে জনপ্রতি ১৫০ টাকা
আরিফ হোসেন, চরফ্যাসন (ভোলা) থেকে: ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি চাউলের সুবিধাভোগিদের ভোক্তা নিবন্ধের নামে ১হাজার ৫শ ৮২ জন হতদরিদ্র কার্ডধারীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উদ্যোক্তা ও ডিলারদের বিরুদ্ধে। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জিম্মি করে এসব টাকা আদায় করেছেন বলে ভুক্তভোগিরা জানান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সুবিধাভোগিদের নামের কার্ড বাতিলের হুমকি দেন ওই ইউনিয়নের ডিলাররা।
সোমবার দুপুরে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট শাখায় গেলে সুবিধাভোগিরা এমন অভিযোগ করেন। জানাযায়, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজি চাউলের সুভিধাভোগি দরিদ্র কার্ডধারী রয়েছেন ১হাজার ৫শ’ ৮২ জন। সম্প্রতি সময়ে এসব কার্ডধারীদের ভোক্তা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেক্তাদের মাধ্যমে। উদ্যেক্তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পারিশ্রমিক দেয়ার কথা থাকলেও উদ্যেক্তরা ডিলার ও চেয়ারম্যানের সাথে আতাঁত করে হতদরিদ্র গ্রামের সহজ সরল মানুষেকে কার্ড বাতিলের হুমকি দিয়ে ভোক্তা নিবন্ধনের নামে জন প্রতি ১৫০ টাকা করে হাতিয়ে নেন। হতদরিদ্র সুবিধাভোগিরা তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেন ডিলার ও সংশ্লিষ্ট উদ্যেক্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কার্ডধারী নারী পুরুষরা জানান, আমরা যদি ১৫০ টাকা করে নেয়ার কথা আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে বলি তাহলে আমাদের কার্ড বাতিল করে দেয়া হবে বলে ইউপি চেয়ারম্যনের লোক ডিলার আজাদ হুমকি দিয়েছেন।
মোঃ রফিকুল ইসলাম নামে একজন কার্ডধারী অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিয়েছেন। সবার কাছ থেকে একই ভাবে টাকা আদায় করেন তারা।
বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম জানান, সরকার প্রদত্ত ১০ টাকা কেজি ধরে কার্ডধারী হিসেব তিনি অনলাইনে ভোক্তা নিবন্ধন করতে গেলে দুদিন ঘুরিয়ে ১৫০ টাকা নিয়ে তার
নিবন্ধন করে দিয়েছেন। ১৫০ টাকা দেয়া মরার ওপর খাড়া গাঁ হয়ে দাড়িয়েছে তাদের। এমনি ভাবে ওই ইউনিয়নের ১হাজার ৫শ’ ৮২ জন হতদরিদ্রদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
উদ্যেক্তা মোঃ হাসনাইন জানান, তিনি এলাকায় নেই। তার দোকানে কর্মচারী দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরোও বলেছেন, ওই
টাকা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত করে দিয়েছেন। ডিলার আজদ জানান, খুশি মনে ভোক্তরা টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেয়া হয়না। এছাড়াও আমরা আওয়ামীলীগ করি সেটাকি সাংবাদিকদের জানার কথা।
ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলার ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, ভোক্তা নিবন্ধনে সুবিধাভোগিদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। নিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: