শেরপুরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২২ পিএম

শেরপুরে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রিমন হত্যার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামীদের চিহিৃত বা গ্রেফতার করতে পারিনি। তারই প্রেক্ষিতে আসামীদের দ্রুত চিহিৃত ও গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শেরপুরবাসী।

এ বিক্ষোভ মিছিলটি সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ বাজার থেকে শেরপুর জেলা শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়। এসময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে জেলা শহরে আসেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন পালন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ রিমন হত্যার মূল আসামীদের চিহিৃত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।

সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কামারিরা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ বাজারে ড‍্যাফোডিল নামের স্কুলের টয়লেট থেকে গত শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) সকালে রিমন নামের এক ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পিতার নাম মোহাম্মদ সাগর
এবং তিনি খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের মা জানান, গত ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিমন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এবং একটু পর আবার সে নানীর বাড়িতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি। পরের দিন সকালে স্কুলের নৈশ প্রহরী স্কুলের টয়লেটে তার
মরদেহ দেখতে পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে খবর দিলে তিনি পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের একাধিক ইউনিট গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। রিমনের বাবা সাগর মিয়া অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বিডি২৪ লাইভ ডটকমকে বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু বলেন, রিমন হত্যার সাতদিন অতিবাহিত হয়েছে। এখনও পুলিশ আসামী ধরাতো দুরের কথা চিহিৃতই করতে পারেনি। আমি আসামীদের দ্রুত চিহিৃত এবং গ্রেফতারে প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।

এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, গত ২৬ আগষ্ট রিমনের লাশ উদ্ধারের পর রিমনের বাবা সাগর মিয়া বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকেই আসামী সনাক্তে ও গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: