স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলাই কাল হলো শ্যালিকার

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩৫ এএম

বোন ও দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় হাফছা খাতুন খুশি (৯) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন শিশুটির জ্যাঠাতো বোনের স্বামী আব্দুল গণি। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আস্করনগর পোলাদিটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুল গণিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুরতহাল শেষে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) নবীউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ভুক্তভোগী হাফছা খাতুন খুশি (৯)। সে ওই গ্রামের বাবু মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে। আর আব্দুল গণি একই এলাকার মণ্ডলেরকুটি গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। খুশির জ্যাঠাতো বোন আঙ্গুয়ারার স্বামী গণি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল গণিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

প্রাথমিক তদন্ত ও আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দাম্পত্যকলহের কারণে তিন মাস আগে খুশির মা তার বাবাকে ছেড়ে মুন্সিগঞ্জে খুশির নানা বাড়িতে চলে যান। এরপর ভুক্তভোগী খুশি তার দুই বোনসহ তার ফুফুর কাছে থাকতো। তার বাবা ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি খুশির জ্যাঠাতো বোনের সঙ্গে আব্দুল গণির বিয়ে হয়। তারা খুশির বাবা বাবু মিয়ার ঘরে থাকতো। বোন ও দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলে এর কিছুদিন আগে গণির লুঙ্গি ধরে টান দেয় খুশি এতে সে শিশুটির ওপর ক্ষুব্ধ হয়। গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে খুশিকে ঘরের ভেতর নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে গণি। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে দরজায় তালা দিয়ে রাখে।

পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে এটি হত্যাকাণ্ড সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ঘটনার আবদুল গণিকে গ্রেফতার করে। সোমবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় গণি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নাগেশ্বরী থানার ওসি নবীউল হাসান বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে গণি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার স্ত্রী আঙ্গুয়ারা এবং শাশুড়ি আমিনা বেগমও সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শিশু খুশিকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় কিনা, এ প্রশ্নে ওসি বলেন, আমরা ওই বিষয়টি নিয়েও অনুসন্ধান করছি। তবে আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। তারপরও আমরা ময়নাতদন্তে পরীক্ষা করতে বলেছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: