মরা মহিষের মাংস বিক্রি সময় জনতার হাতে আটক কসাই, ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মরা মহিষের মাংস বিক্রি করার সময় জনতার হাতে আটক কসাইয়ের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি তিন দিন অতিবাহিত হলেও তাকে রক্ষায় স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা চেষ্টা করছেন অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে গোমস্তাপুর বাসস্ট্যান্ডের মামুন মোটরসাইকেল মেকানিক্সের দোকানের সামনে মরা মহিষের মাংস বিক্রির সময় কসাই রফিকুল ইসলামের দোকানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রানীসম্পদ বিভাগের ভ্যাকসিনেটর আনসারুজ্জামান। তার উপস্থিতি টের পেয়ে ওই কসাইয়ের সহযোগীরা মাংস ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সে মাংস জব্দ করে পুঁতে ফেলা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ওই মাংস বিক্রেতার শাস্তির দাবি করেন। এদিকে ওই মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তারা জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাসু ওই ভ্যাকসিনেটরকে ম্যানেজ করে তাকে (কসাইকে) রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে, ওই ভ্যাকসিনটরকে দিয়ে প্রানীসম্পদ বিভাগের এ অভিযান চালানো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এ ঘটনায় জড়িত মাংস বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওইদিন দোকানে ছিলেন না বলে জানান। আর মাংসে সমস্যা ছিলো বলে অকপটে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন। কে ছিলো তার মোবাইল নম্বরটি প্রতিবেদক চাইলে তিনি বাইরে থেকে আসছি বলে প্রতিবেদককে পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যান।
অভিযান প্রসঙ্গে ভ্যাকসিনেটর আনসারুজ্জামানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সেখানে গিয়ে দেড় মন মতো মাংস পান। এবং তা মাটিতে পুঁতে ফেলেন। কার অভিযানে সেখানে গিয়ে অভিযান চালিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মোবাইলে প্রতিবেদককে জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এবং ঢাকা থেকে এসে সরাসরি যোগাযোগ করবেন বলে মোবাইল কেটে দেন।
কসাইকে রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা নাসু জানান, বিষয়টি সে ও সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন অবহিত হয়ে ওই ভ্যাকসিনেটরকে দিয়ে মাংসগুলো জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাওসার আলী মোবাইল ফোনে জানান, ঘটনার ৩ দিন পর তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: