প্রেমিকের সাথে ঘর ছেড়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী

রাজশাহীর এক তরুণী ঘর ছেড়ে কথিত প্রেমিকের সাথে নাটোরে এসে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। প্রেমিকসহ ওই তরুণী নাটোর থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ অভিযানে নেমে তিন ধর্ষকসহ পাঁচ জনকে আটক করে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের দুর্গম বিলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।
তারা হলেন, শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া (২৬), মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি (২৮) এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান (২৬)। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে বাড়ির মালিক মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর থেকে আবির মাহমুদ (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর শহরে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে আসেন। পরে ওই বন্ধু তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। সেখানেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়। তারা দুজন ওই বাড়িতে অপেক্ষা করতে থাকে। এই মৃদুল-মিথিলা দম্পতি তাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তারা তরুণীর প্রেমিকের গলায় ছুরি ধরে তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের টাকা না দিলে ও কাউকে ঘটনা জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রাত আনুমানিক ১১ টায় মৃদুল-মিথিলা দম্পতির চোখ ফাকি দিয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে নাটোর থানায় এসে ঘটনা জানায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আসামী ধরতে অভিযান শুরু করে। রাতেই মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা থেকে আটক করা হয়।
নাটোর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) জামাল উদ্দীন জানান, ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমরা অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়।
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য: