সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:০৫ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। কম খরচে বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষে দেশে এই ধরনের হাসপাতাল এটাই প্রথম। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ হাসপাতালটি যে কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসক দ্বারা রেফার করা সমস্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করবে। প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার রোগী হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা পাবেন। এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক অনেক বাংলাদেশীর জন্য একটি বিকল্প হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৭৫০ শয্যা থাকবে। এছাড়াও ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, একটি ১শ’ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, একটি ১শ’ শয্যার জরুরি ইউনিট, ছয়টি ভিভিআইপি এবং ২২টি ভিআইপি কেবিন এবং ২৫টি ডিলাক্স কেবিন থাকবে। বিশেষায়িত পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন, জিন থেরাপি এবং রোবোটিক সার্জারি।

বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজনের জন্য ছয়টি মনোনীত কেন্দ্রও থাকবে, যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে আটটি শয্যা থাকবে। ছয়টি মনোনীত কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত অটিজম, মাতৃকালীন যত্ন এবং শিশু যত্ন জরুরি চিকিৎসা সেবা, হেপাটোবিলিয়ারি এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, কার্ডিওলজি ও সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে নেফ্রোলজি।

মাধ্যমিক পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের ওষুধ, সাধারণ অস্ত্রোপচার, চক্ষুবিদ্যা, দন্তচিকিৎসা, চর্মরোগ বিদ্যা, ও শারীরিক ওষুধ এবং পুনর্বাসন। হাসপাতালে ৩শ’ জন চিকিৎসকসহ প্রায় ১৫শ’ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী রোগীদের পরিষেবা দেবেন।

এ লক্ষে ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কমপক্ষে ১২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হাসপাতালের প্রতিটি কর্মকান্ড একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের মাধ্যমে করা হবে এবং রোগীর তথ্য ১০০ বছরের জন্য রেকর্ড করা হবে। এই প্রকল্পটি ২০১৬ সালে সাধারণ এবং জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে বিএসএমএমইউ-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি ‘নিরাপত্তা নেট হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা এবং পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের ব্যয় মোট ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে, যেখানে সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৩০ কোটি টাকা এবং বিএসএমএমইউ ১৭০ কোটি টাকা।সূত্র-বাসস।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: