জুড়ীতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া দম্পতির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৩ পিএম

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রতিবেশীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন জোহরা দম্পতি সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা। সম্প্রতি এ দম্পতি কে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি তাদের দৃষ্টিগোচর হলে জোহরা ও তার স্বামী মোহাম্মদ আলী বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করা সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করেন। ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জোহরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামে বসবাস করে আসছি। এছাড়া জুড়ী কামিনীগঞ্জ বাজারে আমার স্বামী সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করেছি। আমার এক সন্তান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন এবং অপর সন্তান মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে কাজ করছেন। বেশ কয়েক বছর আগে আমার স্বামী হঠাৎ স্ট্রোক করলে আমাদের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। তখন আমি নিজে সেলাইয়ের কাজ করে আমার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেই। একজন গৃহিণী হয়ে পরিবারের পুরো দায়িত্ব, স্বামীর চিকিৎসা ও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে আমাকে প্রতিনিয়ত হিমশীল খেতে হয়েছে। অভাব অনটনের সংসারে যেখানে দু'মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা দায়, সেখানে অনেক কষ্ট করে আমি আমার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করেছি। এক পর্যায়ে আমার ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি পায়।

দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আরেক ছেলেকে প্রবাসে প্রেরণ করতে গিয়ে অনেকের কাছ থেকে ধার দেনা করে আর্থিক অনটনে পড়ে যাই। আমার আর্থিক অনটনের সুযোগ নিয়ে আমার স্বামীর চাচাতো (প্রতিবেশী) ভাই জহিরুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া ও রেনু মিয়া গংদের আমাদের বসতভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা নামমাত্র মূল্যে আমাদের বসতভিটা কিনে নেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দিতে থাকে। আমার স্বামীর কষ্ট কেনা বাড়ি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি না করায় তারা ষড়যন্ত্র করে পাওনাদারদের আমাদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেন।

অথচ নিয়মিতভাবে পাওনাদারদের টাকা আমরা পরিশোধ করে আসছি। অনেকের পাওনা টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়ে গেছে। বাকি পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করার জন্য সময় নিয়েছি। কিন্তু প্রতিবেশীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমার ঘর বাড়ি ফেলে স্বামীকে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেই। আমার স্বামীর হার্টে দুটি রিং লাগানো রয়েছে। মূলত আমার স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আমরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। আর এ সুযোগে জহিরুল গংরা স্থানীয়দের দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। অভিযোগের বিষয়ে জহিরুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া ও রেনু মিয়া বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: