সংবাদ প্রকাশের পর দখলমুক্ত হলো শ্রেণীকক্ষ

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৩ পিএম

তিনটি শ্রেণী কক্ষ। তার মধ্যে একটিতে শিক্ষকরা বসেন। একটি দখল করে মালামাল রেখেছিলেন নতুন ভবন নির্মাণ ঠিকাদার। বাকি একটি শ্রেণী কক্ষে এক সাথে চলছে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একসাথে তিনিটি ক্লাস নিচ্ছেন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ দখল করেছেন ঠিকাদার, মাঠেই চলছে পাঠদান শিরোনামে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ঠিকাদারের দখলে থাকা সেই শ্রেণীকক্ষটি দখলমুক্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই শ্রেণীকক্ষের দরজা ভেঙ্গে কক্ষটি দখলমুক্ত করেন স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় ওই শ্রেণীকক্ষে থাকা হাতিবান্ধা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও নতুন ভবন নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুলের মালামাল অন্যত্রে সড়িয়ে ফেলেন তার লোকজন।

উল্লেখ্য, ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে ৩ শ্রেণী কক্ষে ভাগ করে করে পাঠদান করে আসছে শিক্ষকগণ। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ৪ বছরে নিমার্ণ কাজ শেষ না করে উল্টো পুরাতন ভবনের একটি শ্রেনী কক্ষ দখল করে মালামাল রেখেছিলেন ঠিকাদার ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুল। ফলে এক শ্রেণী কক্ষেই এক সাথে চলছিলো ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একটি কক্ষে একসাথে তিনটি ক্লাস নিয়েছে। শিশু শ্রেণীর ক্লাস কখনো বারান্দায়, কখনো মাঠে খোলা আকাশের নিচে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানা মাত্রই আমি এলজিইডি ও শিক্ষা বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিভাবে নতুন ভবনটির কাজ শেষ করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: