স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সমঝোতা বৈঠক, ফলাফল শূন্য

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লার সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করেছে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সসমঝোতা বৈঠকের ফলাফল এখন পর্যন্ত শূন্য।
আব্দুল আজিজ মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শহরের হোটেল সুইট ড্রিমে শনিবার বেলা ১২ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ওই সমঝোতা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেটের নেতৃত্বে আরও যারা ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, এ্যাড: মোমিন আহমেদ চৌধুরী জিপি, এ্যাড: নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, গোলাম হক্কানী, মহসিন আলী, জাহিদুল আলম বেনু, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র সাবু, কালাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিণফুজুর রহমান মিলনসহ অন্যান্য নৃতৃবর্গ। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীগের মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম।
বৈঠকের প্রথমেই আব্দুল আজিজ মোল্লা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে ব্যাখা মূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি। যারা ভোটার তারা সকলেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বার। সেখানে আমার নির্বাচিত হওযার সুযোগ কোথাই। আর আমার সঙ্গে কেন সমঝোতা বৈঠক বিষয়টি পরিস্কার নয়। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান কালে আব্দুল আজিজ মোল্লাকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহবান জানান।
এ সময় আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলমও তাঁর বক্তব্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যার করে নেওয়ার আহবান জানান। অবশেষে আব্দুল আজিজ মোল্লা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আব্দুল আজিজ মোল্লা জানান, সমঝোতা বৈঠকে মনোনয়ন পত্র প্রতাহার করে নেওয়ার জন্য আমাকে বলা হয়েছে তবে, আমি প্রতাহার করবো কি না সেই সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় নিয়েছি। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, সমঝোতা বৈঠক হযেছে তবে ফলাফল এখন হয়নি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট বলেন, অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম একজন প্রবীণ ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁর সম্মানার্থে আমরা সমঝোতা বৈঠক করেছি, অন্য কিছু নয় বলে দাবী করেন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে আব্দুল আজিজ মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে জেলা আওয়ামীলীগের নিকট একটা ফ্যাক্টর। যার ফলে পরাজয় এড়ানোর জন্য ওই সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন গ্রপের সমর্থিত নেতাদের সমঝোতা বৈঠকে দেখা গেলেও জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড: সামছুল আলম দুদু গ্রুপের সমর্থিত নেতৃবৃন্দকে ওই সমঝোতা বৈঠকে দেখা যায়নি। জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছে জেলা আওয়ামীলীগ। ফেসবুকে চলছে নানা ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি মূলক লেখা লেখি। এতেও বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হযেছে দলের মধ্যে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: