খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না, তবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। আগে মানুষ দুই একদিন খেতে পারতো না, এখন অন্তত দুই মিল খেতে পারছে। আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আদর্শ প্রাণীসেবা লি. এর উদ্যোগে ‘প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি ও প্রাণিবীমা সম্প্রসারণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তির ভূমিকা: আমাদের অবস্থান ও করণীয়’ সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যদিও বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও প্রকৃত অর্থে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তবে সরকারের উদ্যোগের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ডিমের দাম বেশি থাকলেও এই দাম দ্রুতই কমে যাবে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ না, তবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। আগে মানুষ এক দিন, দুই দিন খেতে পারতো না। এখন দিনে অন্তত দুই মিল খেতে পারে।

আ.লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে এখনো ২০ ভাগেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার হিসবে প্রায় ৩ কোটি। তিনি বলেন, আগে মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ ডেসিমেল, এখন সেটি কমে ১০ ডেসিমেল হয়েছে। ছোট থেকেই আমরা দেখেছি গ্রামে মায়েরা দুধ, ডিম বাজারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কাজেই, আমরা যেটি বলছি তাদের আয় কম।

সারের দাম ইতিহাসের সবনিম্ন আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির বিএনপির আমলে ৯২ টাকার সার এই সরকার ক্ষমতায় এসে ১৬ টাকায় নিয়ে এসেছে। এই যে খাদ্যে এত উন্নতি, এটি আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফলেই সম্ভব হয়েছ। তিনি বলেন, আজকে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই যে খাদ্যের এত দাম, আমি যদি সারেই ভর্তুকি দিই, তাহলে খাদ্যে ভর্তুকি আমি কেন দেব? গত ৩ বছরে হ্যাচারি মালিকেরা একদিনের মুরগির একটি বাচ্চাও বিক্রি করতে পারে নাই। কাজীর মতো ফার্ম ১ লাখ মুরগির বাচ্চা পুঁতে ফেলেছে। বলতে চাই, ডিমের দাম সাময়িক, এটা কমে যাবে।