যে বাধে রক্ষা হবে সেই বাধই এখন কাল, কৃষকের মাথায় হাত
বাঙালি নদী থেকে রক্ষা পেতে যে বাধ দেয়া হয়েছিল কৃষি জমিসহ গ্রামবাসী রক্ষা পেতে, সেই বাধ দিয়ে সারাদেশে ভারি বর্ষনে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। আর এতে মাথায় হাত পরেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনয়িনের কয়েকটি গ্রামের কৃষকের। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হবে প্রায় সাড়ে ৪শ বিঘা কৃষি জমি। যত্ন করে লাগানো কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। যে এলাকার মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল সে এলাকায় এমন অবস্থা চলতে থাকলে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে এই গ্রামগুলোর মানুষেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুঘাট, কুসুম্বি, গাড়িদহ, বিশালপুর, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের এই কৃষি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। তবে মরিচের জমি উচু জায়গায় চাষ করায় অধিকাংশ জমি থেকে পানি নেমে গেছে। অন্যদিকে আর কিছুদিন পরেই ধানগুলো ফলতো। ইতিমধ্যে সার ও কিটনাশক বাবদ অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন তারা। কিন্ত বাঙালি নদী থেকে রক্ষা পেতে যে বাধ দেয়া হয়েছিল, সেই বাধ দিয়ে পানি বের হতে না পাড়ায় বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে ধানের জমিতে। ইউনিয়নের চককল্যানী, জয়নগর, চকবেওয়া, জয়লা জুয়ান, গুয়াগাছি ও টেংরাখালি গ্রামের পানি এসে জমে বিলজয় সাগর বিলে। পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় কৃষকরা কাটাখালী বাধের নিচ দিয়ে ৫ টি পাইপ দিলেও তা যথেষ্ট নয়। বৃষ্টির পানি বের হতে তবুও প্রায় ৯ দিন সময় লেগে যাবে। এতোদিন ধান পানির মধ্যে থাকলে গাছগুলো নস্ট হয়ে যায়। তাই খুব দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য কাটাখালী বাধে একটি সুইস গেটের দাবি জানিয়েছেন এই এলাকার কৃষকেরা।
এ ব্যাপারে চককল্যানী গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, বিলজয়সাগর বিল ঘেষে আমি ৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। বৃষ্টির পানি বের হতে না পারায় ধানগুলো ডুবে গেছে। আর কিছুদিন পর ধানগুলো ফলতো। যদি ১ দিনের মধ্যে পানি নিস্কাশন না হয় তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোনদিনই লাভবান হতে পারবোনা। তাই কাটাখালী বাঁধে একটি সুইস গেট নির্মান করা খুব জরুরী।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিনের ভারি বর্ষনে সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি শুকালে জমিতে এখন মরা গাছ পরে থাকবে।
এ বাপারে সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের কৃষকের প্রায় ৪শ বিঘা জমির ধান পানির এখন নিচে। এলাকাবাসী একটি সুইসগেটের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের এতো বড় কাজের বাজেট নেই। তাই শেরপুর-ধুনটন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যকে বলে সুইসগেট নির্মানের চেষ্টা করা হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কাটাখালী বাঁধে একটি সুইসগেট নির্মানের সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, কিছু কিছু জায়গায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ধানী জমি, মরিচসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়, বিভিন্ন কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। তবে অধিকাংশ জায়গার জমিগুলোর পানি নেমে গিয়ে জেগে উঠছে। কিছু কিছু জায়গার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমিগুলো ডুবে আছে। অতিদ্রুত নিস্কাশনেরর ব্যবস্থা গহণ করা হচ্ছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: