টেন্ডার ছাড়াই বন বিভাগের গাছ কাটার অভিযোগ

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে টেন্ডার ছাড়াই বন বিভাগের ৯ টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের খালে আলমপুর মৌজার পোড়াবাড়ি সড়কের পাশের ৯টি গাছ কাটার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পরে। পরে বন বিভাগ সংবাদ পেয়ে গাছগুলো জব্দ করে।
নাম প্রকাশে স্থানীয় এক যুবক জানান, শনিবার সকালে ভোলাহাটের দিক থেকে আমি মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে দেখি বন বিভাগের গাছ কাটছে। তখন তাদের জিজ্ঞেস করি আপনারা বন বিভাগের গাছ কেন কাটছেন? তারা বলে আমরা বন বিভাগের লোক। বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটছি। তারপর বন বিভাগকে জানালে সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে ৯টা গাছ জব্দ করে নিয়ে এসে মেডিকেল মোড়ের একটি কাঠ ফাড়া মিলে রেখেছে। ৯ টি গাছের মধ্যে ২টি বাবলার, ৬ অর্জুন ও ১ টি শিশুর গাছ কেটেছে।
নিজেকে বন বিভাগের লোক দাবি করা ও গাছ বিক্রেতা সুলতান আলী বলেন, আমি বন বিভাগের বড় স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করেছি। আমরা গাছ লাগিয়েছি। আমরা বিক্রি করেছি।
প্রতিবেদক বন বিভাগের কোন কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটু ভুল হয়েছে গাছ কাটা। আপনি ভোলাহাট বন বিভাগের বড় স্যারকে ফোন দেন। সেখানে ফোন করে বিস্তারিত জেনে নেন বলে ফোন কেটে দেন। গাছ ক্রয়কৃত ব্যক্তি ইমরান আলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
করাতকল মালিক শিলু জানান, শনিবার বন বিভাগের অফিসার সেরাজুল ইসলাম ও গাছ কাটা ব্যক্তি ইমরান আলী ওরফে গুধা একটি অর্জুন গাছের ১১টি অংশ রেখে গেছে। আর বলে গেছে বন বিভাগের স্যারের অনুমতি ছাড়া এই গাছ যেন কেউ নিয়ে না যায়। আমার জিম্মায় গাছটি রেখে গেছে।
ভোলাহাট উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায়। তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: