ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন রাবির আরেক অধ্যাপক রবিউল করিম

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৮ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. কে.এম রবিউল করিম মারা গেছেন। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ৫১ বছর বয়সী রাবির এই শিক্ষক। তার এই অকাল মৃত্যুতে পুরো বিভাগ জুড়ে চলছে শোকের মাতম।

ড. করিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বলেন, ২০১৮ সাল থেকে তিনি এই রোগে ভুগতে ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে তার। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। গত তিন-চার মাস ধরে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের চেন্নাইতে নেয়া হয়। সেখান থেকে আবার কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে রেখে কেমো দেয়া শুরু হয়। তবে এত চেষ্টার পরেও তাকে হার মানতে হলো পৃথিবীর অমোঘ নিষ্ঠুর সত্য মৃত্যুর কাছে।

তার এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিভাগে শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: রবিউল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক রবিউল করিম ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব। শুধু বিভাগেই নয় তিনি ছিলেন পুরো সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একজন প্রথিতযশা গবেষক ও অধ্যাপক। অত্যন্ত মেধাবী ও একজন ভালো মানের গবেষক ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, তার মতো একজন শিক্ষক বর্তমান সময়ে পাওয়া খুব কঠিন। তিনি শিক্ষার্থীদের মনের ভাষা খুব সহজেই বুঝতে পারতেন। যার ফলে বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থীর অন্তরে তিনি আলাদা একটা জায়গায় করে নিয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতি সমাজকর্ম পরিবারের জন্য চরম হতাশাজনক ও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই অকাল প্রস্থানে শুধু সমাজকর্মের নয় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলে জানান তিনি।

শোক প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, অধ্যাপক রবিউল করিম দীর্ঘদিন থেকেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তবে তার এই বিদায় আমাদের খুবই মর্মাহত করে। তাকে মুম্বাই থেকে দেশে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ, এর আগের গত ২৭ ডিসেম্বর ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওই বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড.ফারুক হোসাইন মারা গেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: