সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার সড়ক গুলো বন্ধ করে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩৮ পিএম

পরিবহন শ্রমিক নেতাদের উপর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার সবকয়টি সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে শহরের কোথাও ঢুকতে পড়তেছে না যানবাহন। দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৭ টার দিকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের উপর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়। এই মুহূর্ত পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান রয়েছে।

জানা যায়- গত (১৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ সুরমা থানায় শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মারপিট ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে একটি মামলাটি দায়ের করেন লেগুনা শ্রমিক মো. শাহাব উদ্দিন। এতে আসামি করা হয় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম, সিএনজি অপটোরিকশা ম্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, হিউম্যান হুলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল মিয়া মইনসহ চার শ্রমিক নেতাকে। এছাড়াও অজ্ঞাস আরও ২০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭ টার যানবাহন বন্ধ রেখে সিলেট নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। ফলে সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার বাসসহ সিলেটে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। আচমকা এমন কর্মসূতে দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাসের কাউন্টারগুলোতে এসে বসে আছেন।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ সূত্র জানায়- পরিবহন শ্রমিকদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের ৮ দিন পর আন্দোলনে নামা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন- মামলার বিষয়টি আমরা আজকেই জানতে পেরেছি। আজকে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সাথে এ ব্যাপারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন।

মইনুল বলেছেন- যিনি আমাদের নামে মামলা করেছেন তাকে আগেই শ্রমিক সমিতি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমাদের নামে চাঁদাবাজি ছিনতাইয়ের অভিযোগে মিথ্যে মামলা করেন। পুলিশও কোন তদন্ত ছাড়াই মামলাটি গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন- মামলার বিষয়টি জানতে পেরে শ্রমিকরা আজ বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠছে। তারা বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। পুলিশ কমিশনারের অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দালন চলবে।

এবিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, দুই গ্রুপের শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলাগুলো তদন্ত করছে। মামলার এতোদিন পর পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন অযৌক্তিক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: