ডিএনএ টেষ্টে নির্ধারণ হবে ফুলপুরে উদ্ধার নারীর মরদেহ

মায়ের লাশের খোঁজে ময়মনসিংহে এসেছেন খুলনা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম, মান্নান সহ দুই বোন মাহফুজা আক্তার ও আদুরী আক্তার। তবে, উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহ রহিমা বেগমের (৫২) কিনা তা নির্ধারণ করা হবে ডিএনএ টেস্টে।শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল্লাহ আল মামুন বিডি২৪লাইভকেএই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ শনাক্তের জন্য খুলনা থেকে আসা মরিয়ম মান্নান বেলা ১১টার দিকে ফুলপুর থানায় পৌঁছান। এরপর উদ্ধারকৃত নারীর পোশাক ও আলামত দেখে দাবি করেন লাশটি তার মায়ের। তবে, মরদেহ পচেঁগলে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি সেটি রহিমা বেগমের মরদেহ কিনা। তাছাড়া, উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর হবে। আবার মরিয়ম মান্নান বলছেন, তার মায়ের বয়স ৫২ বছর। তাই, ডিএনএ টেস্টের পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ১২ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত হিসাবে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এবিষয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ২৭ দিন যাবৎ আমার মা নিখোঁজ। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের মাকে খুঁজছি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানায় একটি অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। লাশের ছবি দেখে আমার মায়ের কপাল, হাত স্পষ্ট বোঝা গেছে। আমি মনে করি মায়ের শরীর চিনতে কোন প্রমাণ লাগে না। তারপরও আমরা অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবো।
মরিয়ম মান্নান আরও বলেন, আমি মাকে খুজতে এসেছি। ওনি যদি আমার মা না হয় তবে অন্য কোথাও মাকে খুঁজবো। আমরা শুধু আমাদের মা’কে চাই। নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপরে মরিয়ম মান্নান বলেন, আমার মায়ের সাথে জমিজমা নিয়ে স্থানীয়, মহীউদ্দীন, জুয়েল, বিল্লাল হোসেন ও হেলালের সাথে বিরোধ ছিল। এরই জেরে ওরা আমার মায়ের উপর হামলাও করেছে।
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। এরপর আর বাসায় ফেরেন-নি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা নিচে নেমে ব্যবহৃত স্যান্ডেল, ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর প্রক্রিয়া মেনে ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই। এখন এই মামলা তদন্ত করছেন পিবিআই।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: